কলকাতা: পার্ক স্ট্রিটে ফের অগ্নিকাণ্ড। বৃহস্পতিবার দুপুরে এপিজে স্কুলের পাশে শাড়ির একটি গোডাউনে আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন পৌঁছে যায়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ। পৌঁছন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুও। তদারকি করেন গোটা বিষয়টির। দমকল সূত্রে খবর, লকডাউনে অফিস থাকায় গোউডাউনে কেউ ছিলেন না। পাশাপাশি দমকলমন্ত্রী এও জানিয়েছেন, কোনও প্রাণহানি হয়নি। 


দমকলকর্মীদের প্রাথমিক অনুমান শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লাগে। প্রচুর ধোঁয়ার কারণে পায়ে হেঁটে ওপরে ওঠা সম্ভব ছিল না। সেই কারণে ৬৫ মিটার হাইড্রলিক ল্যাডার লাগিয়ে শুরু কাজ। বাইরে থেকে কাজ শুরু করা হয় আকাশচুম্বী ল্যাডার দিয়ে। অন্যদিকে, সিঁড়ি দিয়ে চারতলায় ওঠে গুদামে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালান দমকলকর্মীরা। জোড়া কৌশলে ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। দু-ঘণ্টার মধ্যে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। বহুতলের একদিকের আগুন নিভে যায়। 


এদিন দুপুর ২টো নাগাদ হঠাৎ আগুন লক্ষ্য করেন এলাকার কয়েকজন এবং নিরাপত্তারক্ষীরা। এই বহুতলের ৪ তলা থেকে ধোঁয়া দেখতে পাওয়া যায়। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়ায়। খবর যায় দমকলের কাছে। সেই সময়েই ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি দাঁড়িয়ে পড়েন। সুজিত বসুর তদারকিতে গতি পায় কাজ। দমকলকর্মীরা তৎপরতার সঙ্গে গোডাউনের ভিতরের অংশে যান তিনি। জানান, ল্যাডারও কাজ করেছে, কোথাও আর আগুন কোথাও আর ছড়ায়নি।


বৃহস্পতিবার আবার ফিরল আগুন আতঙ্ক। কার্যত লকডাউনে পঞ্চম দিনে প্রায় শুনশান ছিল পার্ক স্ট্রিট। দুপুর দেড়টা নাগাদ ১১৩ পার্ক স্ট্রিটের এই বহুতলের চারতলার কাপড়ের গুদাম থেকে গলগল করে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন নিরাপত্তারক্ষীরা। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন। দ্বিতীয় দফায় আসে আরও পাঁচটি ইঞ্জিন।


দমকল সূত্রে জানা গেছে, দশতলা এই বাড়িতে থাকা সমস্ত অফিস বন্ধ ছিল। কাপড়ের গুদামে ছিলেন না কেউ। তাই হতাহতের হননি কেউ। তবে ছাই হয়ে গিয়েছে গুদামটি। যদিও জানা যায়নি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ।