কলকাতা: গরু ও কয়লাকাণ্ডে অভিযুক্ত ফেরার যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্র আইনজীবীর মাধ্যমে আইনি নোটিস পাঠালেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে।  


গত ১১ জুন শুভেন্দু ট্যুইট করেন, ২০১৮ সালে বিনয় মিশ্র ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব নিয়ে ভারতীয় নাগরিকত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন। ২০২০ সালে ওই ব্যক্তিকে যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক পদ দেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশনের কাছে বিনীত প্রশ্ন, কোনও বিদেশি নাগরিক কি ভারতের কোনও রাজনৈতিক দলে সামিল হতে পারেন? 


এই ট্যুইট নিয়েই বিজেপি বিধায়ককে আইনজীবীর মাধ্যমে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন বিনয়। তাঁর দাবি, ট্যুইটে ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে মিথ্যা প্রচার করা হয়েছে।  লালবাজারের সাইবার ক্রাইম বিভাগকে পাঠানো হয়েছেন নোটিসের কপি। সেইসঙ্গে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষকেও নোটিস দিয়ে ট্যুইটটি মুছে দিতে বলা হয়েছে।


যুব তৃণমূলের একদা সাধারণ সম্পাদক বিনয় মিশ্র গরু পাচার থেকে শুরু করে কয়লা পাচার-- একাধিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত।  সূত্রের খবর, বাবাকে সঙ্গে নিয়ে তিনিই না কি এখন লুকিয়ে রয়েছেন ভানুয়াতুতে।


দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝখানে নীল জলে ঘেরা স্বর্গের মতো সাজানো ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতু। কলকাতা থেকে যার দূরত্ব প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কিলোমিটার। 


সিবিআই সূত্রে দাবি, কলকাতা থেকে পালানোর পর, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর বিনয় মিশ্র দুবাইয়ের ভারতীয় দূতাবাসে তাঁর পাসপোর্ট সারেন্ডার করার জন্য আবেদন করেন।


সেখানে তিনি জানান, দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব নেওয়ায় তিনি ভারতীয় পাসপোর্ট ছাড়তে চান। সেই আবেদনপত্রে বিনয় মিশ্র দুবাইয়ের একটি ঠিকানা ও ফোন নম্বরও উল্লেখ করেন। 


কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি,  এরপর ২২ ডিসেম্বর দুবাইয়ের ভারতীয় দূতাবাস পাসপোর্ট সারেন্ডার সার্টিফিকেট ইস্যু করে।


এই দু’টি নথিই সিবিআইয়ের হাতে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।


সিবিআই সূত্রে অনুমান, নিউ ইকোনমিকস ফাউন্ডেশন পরিচালিত ‘হ্যাপি প্ল্যানেট ইনডেক্স’ অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে সুখী এই আইল্যান্ডে আত্মগোপন করে আছেন গরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র।