হিন্দোল দে, কলকাতা : খাস কলকাতায় তরুণীকে হাত-মুখ বেঁধে গণধর্ষণ! যার পরে আলমারি ভাঙচুর করে ১৫ লক্ষ টাকা-গয়না লুঠ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে গার্ডেনরিচ থানার অন্তর্গত পাহাড়পুর রোডের একটি বাড়িতে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে। ঠিক কী ঘটেছিল? পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে যে, ঘটনার সময়ে বাড়িতে একা ছিলেন তরুণী। তিনি ওই বাড়িরই সদস্য। সেই তরুণীর হাত-মুখ বেঁধে এবং রীতিমতো তাঁকে মারধোর করে বাড়িতে লুঠপাট চালায় একদল দুষ্কৃতী। আলমারিসহ বাড়ির অন্যান্য জিনিসপত্র ভেঙে সেখানে লুঠপাট চালানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। রাতের দিকে পরিবারের লোকজন গার্ডেনরিচ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। প্রাথমিকভাবে গার্ডেনরিচ থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও আপাতত লালবাজার তদন্তভার নিজেদের দায়িত্বে নিয়েছে।


ঘটনা প্রসঙ্গে যা জানা যাচ্ছে, গার্ডেনরিচ থানার তদন্তকারী দল রয়েছেন ঘটনাস্থলে। তাঁরা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। এরই পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের ফরেন্সিক বিভাগের যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা উপস্থিত হয়েছেন ঘটনাস্থলে। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ঘটনার সময় তরুণী বাড়িতে একাই ছিলেন। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা সেই সময়ে নিজেদের কাজে বাইরে ছিলেন। তরুণীর অভিযোগ, বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে তাঁর হাত-মুখ বেঁধে লুঠ চালায় বাড়িতে। কিন্তু গোটা বিষয়টা নিয়ে পুলিশের কাছে সবথেকে বড় প্রশ্ন, তরুণী যদি বাড়িতে একাই থেকে থাকেন, তাহলে তো বাড়ির দরজা বন্ধ থাকার কথা। সেই দরজা যদি ভাঙা হত, তাহলে তো প্রতিবেশীরাও তার আওয়াজ পেতেন। কিন্তু প্রতিবেশীরা কোনও আওয়াজ পাননি। তাহলে কী পরিচিত কাউকে দেখেই দরজা খুলে দিয়েছিলেন তরুণী? তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।



প্রতিবেশীদের সঙ্গেও এই বিষয়ে কথা বলছে পুলিশ। পাশাপাশি ওই এলাকায় যে সমস্ত সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে, সেই সমস্ত সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও পুলিশ খতিয়ে দেখবে বলে জানা যাচ্ছে। কারা এসেছিল? তারা কি ওই তরুণীর পরিচিত কেউ ছিল? সেই কারণেই কি ওই তরুণী তাদের দরজা খুলে দিয়েছিলেন? নাকি সত্যিই যে দুষ্কৃতীরা এসেছিল তারা দরজা ভেঙে ঢুকেছিল? তাহলে কেন প্রতিবেশীরা দরজা ভাঙার আওয়াজ পেলেন না? বা বাড়ির মালিকই বা কেন কোনও আওয়াজ পেলেন না? সমস্ত বিষয়টাই এখন তদন্ত সাপেক্ষ। ইতিমধ্যেই পুলিশ তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করেছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যেমন কথা বলা হচ্ছে, পাশাপাশি প্রতিবেশীদের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে। ফরেন্সিক টিমও জানার চেষ্টা করছে দরজাটা কীভাবে খোলা হয়ে থাকতে পারে। সেখানে কারও হাতের ছাপ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে ফরেন্সিক টিম।