পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: কাঁকুলিয়া রোডে জোড়া খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য। খুনের ব্লু প্রিন্ট তৈরি করেছিলেন পরিচারিকা মিঠু হালদারই। খুনের পরিকল্পনা থেকে পালানোর ছক, গোটাটাই ছেলের সঙ্গে মিলে ঠিক করেন মিঠু। ধৃত পরিচারিকাকে জেরা করে এমনটাই দাবি করছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, জোড়া খুনে পরিচারিকা মিঠু হালদার অন্যতম ষড়যন্ত্রী।
পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকীর পৈত্রিক বাড়ির কাছেই কাঁকুলিয়া রেল গেটের কাছে মিঠুর শ্বশুরবাড়ি। ওই এলাকায় দীর্ঘদিন থাকার ফলে রাস্তাঘাট সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন মিঠু। ফলে খুনের পর কোন পথে পালাতে হবে, তা নিয়ে বড় ছেলে ভিকির সঙ্গে আলোচনাও করেন মিঠু। গতকাল মিঠুর ডায়মন্ড হারবারের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে রক্তের দাগ লাগা পোশাক উদ্ধার করেছে পুলিশ। মিঠু গ্রেফতার হলেও জোড়া খুনে মূল অভিযুক্ত তাঁর ছেলে ভিকি এখনও অধরা। কাঁকুলিয়া রোডে কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকী ও তাঁর গাড়িচালক রবীন মণ্ডলকে খুনের পর কোন পথে পালিয়েছিল আততায়ীরা? তা জানতে জোড়া খুনে ধৃত পরিচারিকা মিঠু হালদারকে নিয়ে গতকাল ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে পুলিশ।
লোভ, লুঠের অভিসন্ধি, ভয়, খুন। কলকাতার বুকে জোড়া হত্যাকাণ্ডে প্রথম গ্রেফতারির পর, এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে পুলিশের হাতে। কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকী খুনের রহস্য গতকালই উন্মোচন করে কলকাতা পুলিশ। ডায়মন্ড হারবার থেকে গ্রেফতার করা হল মিঠু হালদারকে। তাঁর বড় ছেলে ভিকিই খুনি। মাকে জেরা করে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী দাবি পুলিশ সূত্রের। দ্রুত অবস্থান বদলে পুলিশকে ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করছেন ভিকি। এমনটাই খবর পুলিশ সূত্রে।
তদন্তে নেমে মঙ্গলবার রাত থেকেই, জোড়া হত্যাকাণ্ডের তদন্তের জাল গোটাচ্ছিল পুলিশ। শেষ অবধি CCTV ক্যামেরার ফুটেজ ও মোবাইলের কল রেকর্ডের সূত্র ধরে রহস্যভেদ। মঙ্গলবার রাতেই ডায়মন্ড হারবারে যান লালবাজারের গোয়েন্দারা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, সেখানকার বাসিন্দা মিঠু হালদারকে। সূত্রের খবর, বক্তব্যে অসঙ্গতি মেলায় বুধবার বিকেলে মিঠু, তাঁর ছোট ছেলে ও ভাইকে লালবাজারে নিয়ে আসা হয়। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর মিঠু হালদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: অপরাধ সে 'লক্ষ্মী'! লক্ষ্মীপুজোর দিনই সদ্যোজাতকে খুনের অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে