কলকাতা : কাঁকুলিয়া রোড জোড়া খুনের নেপথ্যে বড় কোনও কারণ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, কাঁকুলিয়ায় গাড়ির চালককে খুনের পর সুবীর চাকীকে খুন করা হয়েছিল। বাড়ির দরজা খুলে আততায়ীদের বাড়ি দেখান গাড়ির চালক। দোতলায় নিয়ে যাওয়ার পর গাড়ির চালককে খুন করা হয়। তখন একতলায় অপেক্ষা করছিলেন কর্পোরেট-কর্তা সুবীর চাকী। গাড়ির চালককে খুনের পর একতলায় এসে সুবীরকে খুন করা হয়। লুঠের জন্যই জোড়া খুন বলে জেরায় দাবি করেছে ধৃতরা। তবে লুঠের জন্য খুন হলেও বিশেষ কিছুই মেলেনি বলে জানিয়েছে তারা, এমনটাই জানা যাচ্ছে পুলিশ সূত্রে।


এদিকে কাঁকুলিয়া রোডে জোড়া হত্যাকাণ্ডে আরও দু-জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আগেই মিঠু হালদারকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবার ধরা পড়ল বাপি মণ্ডল ও জাহির গাজি নামে আরও দু-জন। দু-জনেরই বাড়ি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ডায়মন্ড হারবারে। বাপি থাকত নাইয়াপাড়ায়। জাহিরের বাড়ি রামরামপুরে। 


লালবাজারের তরফে জানানো হয়েছে, মিঠু হালদারকে জেরা করে এদের নাম জানা যায়। টানা জিজ্ঞাসাবাদে খুনে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে তারা। ধৃত বাপি মণ্ডলের স্ত্রী জানান, জাহির ফোন করেছিল, মিঠু হালদার ডেকে নিয়ে গেছিল।


কাঁকুলিয়া রোডে জোড়া হত্যাকাণ্ডে এই নিয়ে মোট তিনজন গ্রেফতার হল। তবে এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত ভিকি-সহ তিনজন। কারণ সূত্রের দাবি, গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডে জোড়া হত্যাকাণ্ডে সরাসরি যুক্ত ছিল ৫ জন। তিনজন আততায়ীকে মিঠু হালদার এবং একজনকে কাজে লাগিয়েছিল তার ছেলে ভিকি। খুন করার জন্য ৩ জনকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মিঠু। খুনের জন্য ধারালো অস্ত্র কিনেছিল ছেলে ভিকি।


সূত্রের খবর, মিঠু ৩ জনকে কাজে লাগায়। ট্রেনে যাতায়াতের সূত্রে পরিচয়। অপরাধমূলক কাজে যুক্ত ছিল তারা। ৫০ হাজার টাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বাকি ২জনের একজন ভিকি। ভিকি ফার্নরোডে কাজ করত। সেখান থেকে একজনকে জোগাড় করে। মোট ৫।  


গড়িয়াহাটের মতো ব্যস্ত এলাকা! সেখানে বিকেল বেলায় তিন তলা বাড়িতে ঢুকে কর্পোরেট কর্তা ও তাঁর গাড়ির চালককে কুপিয়ে খুন! এই কাজ যে এক-দু’জনের পক্ষে সম্ভব নয়, তা প্রথম থেকেই বুঝতে পারছিলেন তদন্তকারীরা।