কলকাতা : আজ কালীপুজো। শুভ শক্তির হাতে অশুভ শক্তির পরাজয়৷ মঙ্গলারতি দিয়ে শ্যামার আরাধনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মন্দিরে।
দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ভবতারিণী মায়ের পুজোয় ভক্তদের ঢল নামে প্রতিবার। করোনা আবহে দক্ষিণেশ্বরের মা ভবতারিণীর মন্দিরে কড়াকড়ি যথেষ্ট। মাস্ক পরা তো বাধ্যতামূলক বটেই। মানতে হবে নির্দিষ্ট দূরত্ববিধি। দক্ষিণেশ্বর মন্দির চত্বরে বসে পুজো দেখতে না পারলেও, এবারও মা ভবতারিণীর কাছে পুজো দিতে পারবেন ভক্তরা।
১৮৫৫ সালে রানি রাসমনি এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর থেকে রামকৃষ্ণদেবের সাধনাস্থলে পরিণত হয় দক্ষিণেশ্বর মন্দির। চার প্রহরে মা ভবতারিণীর পুজোয় হয়।এবার পুজো শুরু হবে রাত সাড়ে ১০টার পর। আজ ভোর পাঁচটায় মন্দির খোলে। তবে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে সাড়ে ৩টে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে মন্দির। গতবারের মতো এবারও ফুল, ধূপকাঠি-সহ অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে মন্দিরে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে মিষ্টি নিয়ে ঢুকতে পারবেন ভক্তরা।
আরও পড়ুন :
১০০০ টা জবা ফুলের দাম ১০০০ টাকা !! জগন্নাথ ঘাটের পাইকারি ফুল-বাজারেও আগুন দর
কালীপুজোয় নতুন শাড়ি, গয়না দিয়ে সাজানো হয়েছে দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মাকে। ভোরে মন্দির খোলার পর শুরু হয় মঙ্গলারতি। এরপর ধূপ আরতি হয়। মায়ের মন্দিরে পুজো দিতে প্রতিবারের মতে এবারও দক্ষিণশ্বরে ভক্তদের ঢল নামবে । শ্রীরামকৃষ্ণের দাদা রামকুমার চট্টোপাধ্যায়ের প্রচলিত রীতিতেই কালী পুজোহয়ে আসছে দক্ষিণেশ্বরে ৷ শুক্রবার ভোরে মা ভবতারিণীর আরাধনা থেকে শুরু হয়েরাতে ষোড়শ উপাচারে দেবীর পুজো ৷ আর এর মাঝে চলে শ্যামা মায়ের আরাধনা ৷ শ্রীরামকৃষ্ণের দাদা রামকুমার চট্টোপাধ্যায়ের প্রচলিত রীতিতেই কালী পুজো হয়ে আসছে দক্ষিণেশ্বরে ৷ ভোরে মা ভবতারিণীর আরাধনা থেকে শুরু হয়ে রাতে ষোড়শ উপাচারে হয় দেবীর পুজো ৷
মা ভবতারিণীর মন্দির থেকে রাধাকৃষ্ণ মন্দির। মায়াবী আলোর খেলায় বদলে গেছে দেবালয়ের চালচিত্র। রঙিন আলোয় মানানসই শিবমন্দিরগুলিও। রবিবার দীপান্বিতা কালীপুজো। রাতভর রঙিন আলোর ঝর্ণায় ভাসবে মন্দির চত্বর। রঙিন আলোকমালায় আলোকিত মন্দির চত্বর৷ তবে সককিছুর মধ্যে একটাই সাবধানবাণী, মেনে চলুন করোনা বিধি। আনন্দ করুন নিয়ম মেনে।