রাজর্ষি দত্তগুপ্ত ও পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: কোথায় লুকিয়ে রয়েছে কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকী খুনে মূল অভিযুক্ত ভিকি? হন্যে হয়ে তার খোঁজ চালাচ্ছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা।  সূত্রের খবর, কোনও মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে না ভিকি। তার হদিশ পেতে পরিচিতদের তালিকা তৈরি করে সেইসব জায়গায় খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।


কাঁকুলিয়া রোডে কর্পোরেট কর্তা খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদার। ৬দিন পরও পুলিশের হাতের নাগালের বাইরে সে। কোথায় রয়েছে ভিকি?হদিশ পেতে মরিয়া গোয়েন্দারা। তদন্তকারীদের দাবি, খুনের ঘটনার পর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও কল রেকর্ড ঘেঁটে প্রথমেই ভিকিকে চিহ্নিত করতে পেরেছিলেন।


সূত্রে খবর, তদন্তকারীরা বারবার অভিযান চালালেও প্রতিবার গোয়েন্দাদের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়েছে সে। লালবাজার মনে করছে, দাগী দুষ্কৃতীদের মতো ভিকি এই খুনের ঘটনার আগে ও পরে কোথাও কোনও ক্লু রাখতে চায়নি।  


সুবীর চাকীকে খুনের দিন ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা করে। ফার্ন রোডের এই নির্মীয়মাণ বহুতলে কাজ করত অভিযুক্ত ভিকি। খুনের দিন সকাল থেকে এখানেই ছিল সে। তার আচরণ ছিল অত্যন্ত স্বাভাবিক।


পুলিশ সূত্রে দাবি, প্রতিদিনের মতো খুনের দিন বিকেল ৫টার পর নির্মীয়মাণ বহুতল থেকে বেরিয়ে যান ঠিকাদার ও শ্রমিকরা। তাঁরা চলে যাওয়ার পরেও ভিকি এখানে ছিল।  তদন্তকারীদের অনুমান, যাতে কারও কোনও রকম সন্দেহ না হয় তাই বিকেল সাড়ে ৫টার পর সুবীর চাকীর সঙ্গে দেখা করার সময় ঠিক করে অভিযুক্ত।
 
গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, খুনের পরও বিচলিত হয়নি ভিকি। খুনের পরদিন সোমবার সকালে নির্মাণ সংস্থার মালিকের কাছে এসে বলে, আমার বাবা মারা গেছেন। বাড়ি যেতে হবে। দু-হাজার টাকা চাই। ৩দিন পর কাজে যোগ দেব। 


শুনে ১৫০০ টাকা দেন নির্মাণ সংস্থার মালিক। এরপর থেকেই বেপাত্তা হয়ে যায় সে। পুলিশ সূত্রে খবর, মা মিঠু হালদার, শাগরেদ বাপি ও জাহির গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই আরও সাবধান হয়ে যায় ভিকি। তারপর থেকে কোনও মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে না সে। এমনকি কোনওভাবে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করছে না।


ভিকির নাগাল পেতে গোয়েন্দারা তার পরিচিতদের তালিকা তৈরি করে সেইসব জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন।