কলকাতা: কলকাতা পুরসভা ভোটে উত্তেজনাপ্রবণ বুথের তালিকা প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। ১৬টি বরোর ১,১৩৯ টি বুথ উত্তেজনাপ্রবণ বলে জানানো হয়েছে। এই ১,১৩৯টি বুথের মধ্যে ৭৮৬টি স্পর্শকাতর ভোটকেন্দ্র রয়েছে। ১৬টি বরোয় ৪ হাজার ৯৫৯টি বুথ রয়েছে। বহিরাগতদের বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের জন্য প্রচারের শেষদিন। সকাল থেকেই প্রচার শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তবে দুপুরে চমক দেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তিনি আজ পুরভবনের সামনে পালকি চড়ে আসেন। তাঁর জন্যই বহু বছর পরে আজ কলকাতা পুরসভার পার্কিং লটে আজ দেখা যায় পালকি। হাতে ফুটবল নিয়ে পালকিতে চড়েন মদন।
পালকি নিয়ে আসার পর কলকাতা পুরসভার সামনে দাঁড়িয়ে মদন মিত্র বলেন, ‘শেষবার হয়তো ১৮০০ বা ১৯০০ সালে এসেছিল পালকি। সেটা ছিল রাজাবাহাদুরদের সময়। আবার এক রাজাবাহাদুর নরেন্দ্র মোদি এখন দিল্লিতে ক্ষমতায় এসেছেন। ওঁরা চড়বেন চপারে আর মানুষকে চড়তে হবে পালকিতে। কাঁধে টানা লোকগুলো নিয়ে যাবে। তাই আবার হয়তো ১০০ বছর পরে লেখা হবে, ২০২১-এর ১৭ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভার গেটের সামনে এসেছিল পালকি। নিয়ে এসেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তবে এটা আমরা ফুটবলের মতো খেলে উড়িয়ে দেব। ১৪৪টি আসনই আমরা পাব।’
কলকাতা পুরসভার ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী ফিরহাদ হাকিম চেতলা এলাকায় প্রচার চালান। হুডখোলা জিপে এলাকায় ঘোরেন তিনি।
বেলেঘাটার বিধায়ক পরেশ পাল ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী। প্রচারের শেষদিনে কাঁকুড়গাছি এলাকায় ঘোড়ার গাড়ি, ধামসা মাদল, মহিলা ঢাকীদের নিয়ে মিছিল করে প্রচার করেন তিনি। পরেশ পাল ছিলেন হুডখোলা জিপে।
১০১, ১০২ ও ১১০ এই তিন ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থীদের নিয়ে গড়িয়া এলাকায় প্রচার করলেন সুজন চক্রবর্তী। রাজা সুবোধ চন্দ্র মল্লিক রোডে পদযাত্রা করে চলে প্রচার।
কলকাতা পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী বিজয় ওঝার সমর্থন প্রচার করলেন সুকান্ত মজুমদার, সায়ন্তন বসুরা। বড়বাজারের বটতলা এলাকায় প্রচার করেন বিজেপি নেতারা।
শেষদিনের প্রচারে ঝড় তোলেন কলকাতা পুরসভার ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠক। বাবুঘাট থেকে স্ট্র্যান্ড রোড ধরে পায়ে হেঁটে প্রচার করেন তিনি। বর্ণাঢ্য প্রচারে সঙ্গে ছিল ঘোড়ার গাড়ি, অনেক কর্মী সমর্থক।