সন্দীপ সরকার, কলকাতা: পুরভোটের শেষদিনে অভিনব প্রচার কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রর। তিনি আজ পুরভবনের সামনে পালকি চড়ে আসেন। সেখানে পুরভোটের থিম সং ‘খেলার গান’ উদ্বোধন করার কথা তাঁর। হাতে ফুটবল নিয়ে পালকিতে চড়েন মদন।


কলকাতা পুরসভার পার্কিং লটে আজ দেখা যায় পালকি। এই অভিনব ঘটনা দেখা যায় মদন মিত্রর জন্যই। পালকি নিয়ে আসার পর কলকাতা পুরসভার সামনে দাঁড়িয়ে মদন মিত্র বলেন, ‘শেষবার হয়তো ১৮০০ বা ১৯০০ সালে এসেছিল পালকি। সেটা ছিল রাজাবাহাদুরদের সময়। আবার এক রাজাবাহাদুর নরেন্দ্র মোদি এখন দিল্লিতে ক্ষমতায় এসেছেন। ওঁরা চড়বেন চপারে আর মানুষকে চড়তে হবে পালকিতে। কাঁধে টানা লোকগুলো নিয়ে যাবে। তাই আবার হয়তো ১০০ বছর পরে লেখা হবে, ২০২১-এর ১৭ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভার গেটের সামনে এসেছিল পালকি। নিয়ে এসেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তবে এটা আমরা ফুটবলের মতো খেলে উড়িয়ে দেব। ১৪৪টি আসনই আমরা পাব।’ 



কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের থিম সং উদ্বোধনের বিষয়ে মদন বলেন, ‘নচিকেতা চক্রবর্তীর উদ্বোধনে আসার কথা ছিল। তবে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় আসতে পারেননি। আমি তো নচিকেতার গান গাইতে পারি না। অন্য কারও অপ্রকাশিত গান আমি গাইতে পারব না। তবে আমি বলব, আমরা করব জয়।’


আজ কলকাতা পুরসভা ভোটের প্রচারের শেষদিন। সকাল থেকেই প্রচারে বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। 


১২৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ পোল্ল্যে আজ ঢাক নিয়ে শোভাযাত্রা করে প্রচার করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অভিনেতা ও চণ্ডীপুরের তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী। 


একই পরিবারের তিন জন পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থী। ১১৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী তারক সিংহ, তাঁর মেয়ে কৃষ্ণা সিংহ প্রার্থী ১১৬ নম্বর ওয়ার্ডে। আর ছেলে অমিত সিংহ প্রার্থী ১১৭ নম্বর ওয়ার্ডে। আজ তাঁদের হয়ে প্রচারে যোগ দেন সুজিত বসু। বেহালার রায় বাহাদুর রোড এলাকায় চলে প্রচার।  


৮১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী জুঁই বিশ্বাস। ভ্রাতৃবধূর সমর্থনে আজ বিশাল মিছিল করলেন অরূপ বিশ্বাস। সোহম চক্রবর্তীও অংশ নেন প্রচারে। চারুমার্কেট থেকে তারাতলা পর্যন্ত হয় মিছিল।    


বেলেঘাটার বিধায়ক পরেশ পাল ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী। প্রচারের শেষদিনে কাঁকুড়গাছি এলাকায় ঘোড়ার গাড়ি, ধামসা মাদল, মহিলা ঢাকীদের নিয়ে মিছিল করে প্রচার করেন তিনি। পরেশ পাল ছিলেন হুডখোলা জিপে।