KMC Election 2021 Live : ভোটের আগে উত্তপ্ত হরিদেবপুর, তৃণমূল-সিপিএম সংঘর্ষ
KMC Election Live Updates : প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াই কলকাতায় পুরভোট হবে। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে।সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই কার্যত বহাল
কাল শহরের ২০০টি জায়গায় থাকছে পুলিশ পিকেট। জলপথেও রিভার পেট্রোলিং চলবে ৬ জায়গায়। RFS ও RT মোবাইল দিনে-রাতে মিলিয়ে থাকবে ৭২টি। HRFS থাকবে ৩৫টি। থাকবে ১৮টি স্পেশাল ক্যুইক রেসপন্স টিম।
ভোটের আগে উত্তপ্ত হরিদেবপুর, তৃণমূল-সিপিএম সংঘর্ষ। সিপিএমের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তৃণমূলের। তৃণমূলের পতাকা, ফ্লেক্স ছেঁড়ার অভিযোগ। অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা পার্টি অফিসে হামলার অভিযোগ সিপিএমের।
রাত পোহালেই কলকাতায় পুরভোট। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখলেন পুলিশ কমিশনার।
কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডের ১৬টি ডিসিআরসি-তে চূড়ান্ত ব্যস্ততা। তৈরি প্রায় সাড়ে ৬ হাজার ইভিএম। ভোটকর্মীদের জন্য মাস্ক, স্যানিটাইজার
পুরভোটের আগের দিন অস্ত্র-সহ গ্রেফতার। তারাতলায় পুলিশের নাকা চেকিংয়ের সময় গ্রেফতার অভিযুক্ত। স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র-সহ গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার। কী উদ্দেশ্যে অস্ত্র-সহ কলকাতায় ? ধৃতকে জেরা পুলিশের
হরিদেবপুরে বহিরাগত বাইক বাহিনী এনে ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূল। হুমকি দিচ্ছে এজেন্টদের। অভিযোগ বামেদের। প্রচারে থাকার চেষ্টা, কটাক্ষ শাসকদলের
কাল কলকাতায় পুরভোট। তার আগে শহরের বিভিন্ন জায়গায় চলছে পুলিশের নাকা চেকিং। গাড়ি ও বাইক থামিয়ে চলছে নথি পরীক্ষা। সিঁথি মোড়ে চলছে নাকা তল্লাশি।
কাল কলকাতায় পুরভোট। তিলজলা এলাকায় রুট মার্চ করল কলকাতা পুলিশ
কাল পুরভোট, কলকাতার নিরাপত্তায় আরও ৫০০ রাজ্য পুলিশ। ১৪৪টি ওয়ার্ডের নিরাপত্তায় ২৩ হাজার ৫০০ পুলিশ। আজ থেকেই চালু কমিশনের কন্ট্রোল রুম-২২৯০ ০০৪০/৪১।
কাল কলকাতায় পুরভোট, সন্ত্রাসের আশঙ্কায় বিজেপির হুমকি। "৩ ঘণ্টা দেখব, ভোট লুঠ হলে ঘেরাও করব রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ভোট লুঠ হলে সিটকে দিয়ে তদন্ত করাতে বলব।" ভোট লুঠের আশঙ্কায় তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি শমীক ভট্টাচার্যের
কাল পুরভোট, কলকাতার নিরাপত্তায় আরও ৫০০ রাজ্য পুলিশ। ১৪৪টি ওয়ার্ডের নিরাপত্তায় ২৩ হাজার ৫০০ পুলিশ।
আগামীকাল কলকাতায় পুরভোট। ডিসিআরসিগুলিতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডের জন্য খোলা হয়েছে ১৬টি ডিসিআরসি। ৪ হাজার ৯৫৯টি বুথের জন্য থাকছে ৬ হাজার ৫৭০টি ইভিএম। ১ হাজার ৭৭৬টি ভোটকেন্দ্রে হবে ভোটগ্রহণ। থাকছে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা। করোনা আবহে পুর নির্বাচন হওয়ায় ভোটকর্মীদের জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেওয়া হচ্ছে মাস্ক, স্যানিটাইজার, ফেস শিল্ড-সহ সুরক্ষা কিট।
কাল কলকাতা পুরসভার নির্বাচন, কমিশন-ডিজি-সিপি বৈঠক। ‘ভোটের সুরক্ষা নিয়ে প্রতি ঘণ্টায় রিপোর্ট দিতে হবে’। ডিজি ও সিপিকে নির্দেশ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। বকেয়া পুরভোট নিয়ে স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠক কমিশনের
ভোটের আগে ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডে আনন্দপুর থানা এলাকার চৌবাগায় দু’ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ। আহত হন বেশ কয়েকজন। গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। তৃণমূল বিধায়ক জাভেদ খানের অভিযোগ, হামলার নেপথ্যে ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী সুশান্তকুমার ঘোষ। তাঁর প্রতি আক্রোশের কারণেই হামলা বলে তৃণমূল বিধায়কের দাবি। পাল্টা তৃণমূল প্রার্থীর দাবি, তপসিয়া থেকে দুষ্কৃতীদের এনে গন্ডগোল পাকানো হচ্ছে।
রাত পোহালেই কলকাতায় পুরভোট। তার আগে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের রুটমার্চ। মুকুন্দপুর এলাকায় পুলিশের রুটমার্চের পাশাপাশি, এলাকার বিভিন্ন হোটেলে তল্লাশি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে রেজিস্টার। নতুন কেউ এলে পুলিশকে জানাতে নির্দেশ হোটেল কর্তৃপক্ষকে।
কাল কলকাতা পুরসভার নির্বাচন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কলকাতার পুলিশ কমিশনার
পুরভোটের আগে ঢাকুরিয়ায় উত্তেজনা। মেয়াদ শেষের পরেও বাম প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচারের অভিযোগ।৯২ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআই প্রার্থী মধুছন্দা দেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ।‘ওয়ার্ডের মৃত ভোটারদের ভোটার কার্ড সংগ্রহ করেছেন বাম প্রার্থী’ ,ভিডিও প্রকাশ করে দাবি তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক মুখোপাধ্যায়ের।‘বহিরাগতদের ওয়ার্ডে ঢোকাচ্ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী’,‘বাধা দিতে মারধর’, পাল্টা অভিযোগ বামেদের
রাত পোহালেই কলকাতায় পুরভোট। তার আগে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের রুটমার্চ। বেলগাছিয়ার মিল্ক কলোনি এলাকায় র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স ও উল্টোডাঙা থানার পুলিশের রুটমার্চ।
রাত পোহালেই কলকাতায় পুরভোট। তার আগে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের রুটমার্চ। মুকুন্দপুর এলাকায় পুলিশের রুটমার্চের পাশাপাশি, এলাকার বিভিন্ন হোটেলে তল্লাশি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে রেজিস্টার। নতুন কেউ এলে পুলিশকে জানাতে নির্দেশ হোটেল কর্তৃপক্ষকে।
কলকাতা পুরভোটে থাকছে ২৩ হাজার পুলিশ। ৫০ জায়গায় নাকা তল্লাশি। ২০০টি পুলিশ পিকেট। প্রস্তুত ১৮টি স্পেশাল ক্যুইক রেসপন্স টিম। নজরদারি জলপথেও।
কলকাতা পুরসভার ১ ও ২ নম্বর বরোর ডিস্ট্রিবিউশন ও রিসিভিং সেন্টার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রতিটি বুথে লাগাতে হবে সিসি ক্যামেরা। রবীন্দ্রভারতীতে প্রায় ২০০টি সিসি ক্যামেরা মজুত করা হয়েছে
কলকাতা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে বিজেপি। ‘অবসরকালীন বেঞ্চে জরুরি ভিত্তিতে শুনানি চেয়ে আবেদন। রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে আবেদন বিজেপির।‘আবেদনপত্র পাঠানো হয়েছে প্রধান বিচারপতির কাছে’দাবি বিজেপি সূত্রের
আগামীকাল কলকাতায় পুরভোট। ডিসিআরসিগুলিতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডের জন্য খোলা হয়েছে ১৬টি ডিসিআরসি। ৪ হাজার ৯৫৯টি বুথের জন্য থাকছে ৬ হাজার ৫৭০টি ইভিএম। ১ হাজার ৭৭৬টি ভোটকেন্দ্রে হবে ভোটগ্রহণ
আগামীকাল কলকাতায় পুরভোট। তার আগে শহরজুড়ে পুলিশের নাকা চেকিং। কলকাতা পুলিশ ছাড়াও বিধাননগর, হাওড়া, ডায়মন্ড হারবার ও বারুইপুর, এই ৪টি কমিশনারেটকে সতর্ক থাকতে বলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কলকাতার সীমানায় জোকা এলাকায় ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলা, বিষ্ণপুর ও ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ যৌথভাবে তল্লাশি চালাচ্ছে। গাড়ি ও বাইক থামিয়ে চলছে নথি পরীক্ষা।
আগামীকাল কলকাতায় পুরভোট। তার আগে শহরজুড়ে পুলিশের নাকা চেকিং। কলকাতা পুলিশ ছাড়াও বিধাননগর, হাওড়া, ডায়মন্ড হারবার ও বারুইপুর, এই ৪টি কমিশনারেটকে সতর্ক থাকতে বলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কলকাতার সীমানায় জোকা এলাকায় ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলা, বিষ্ণপুর ও ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ যৌথভাবে তল্লাশি চালাচ্ছে। গাড়ি ও বাইক থামিয়ে চলছে নথি পরীক্ষা।
শিয়ালদা মুচিপাড়া এলাকায় কলকাতা পুলিশের কম্যান্ডো ফোর্সের রুটমার্চ। বৌবাজার, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার-সহ ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন রাস্তায় রুটমার্চ চলছে।
পুরভোটের আগে কলকাতায় বোমাবাজি। প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন নির্দল প্রার্থী তনিমা চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, গতকাল রাতে বালিগঞ্জ প্লেসের অভিজাত এলাকায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পরপর ২টি বোমা ছোড়ে। বাইকে করে ৩ জন দুষ্কৃতী এসেছিল বলে অভিযোগ। তৃণমূল প্রার্থী সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়ের দাবি, নিজেরাই নিজেদের বাড়িতে বোমা ছুড়ে মিথ্যা অভিযোগ করছে।
রাত পোহালেই কলকাতায় পুরভোট। তার আগে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের রুটমার্চ। মুকুন্দপুর এলাকায় পুলিশের রুটমার্চের পাশাপাশি, এলাকার বিভিন্ন হোটেলে তল্লাশি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে রেজিস্টার। নতুন কেউ এলে পুলিশকে জানাতে নির্দেশ হোটেল কর্তৃপক্ষকে।
আগামীকাল কলকাতায় পুরভোট। তার আগে শহরজুড়ে পুলিশের নাকা চেকিং। নিউ মার্কেট এলাকার বিভিন্ন হোটেলে পুলিশের তল্লাশি অভিযান। বহিরাগতরা আশ্রয় নিয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আগামীকাল কলকাতায় পুরভোট। তার আগে শহরজুড়ে পুলিশের নাকা চেকিং। চিংড়িঘাটা এলাকায় গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি বিধাননগর কমিশনারেট ও কলকাতা পুলিশের। বাইক থামিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে নথি।
আগামীকাল কলকাতায় পুরভোট। তার আগে শহরজুড়ে পুলিশের নাকা চেকিং। নিউ মার্কেট এলাকার বিভিন্ন হোটেলে পুলিশের তল্লাশি অভিযান। বহিরাগতরা আশ্রয় নিয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রবিবার কলকাতার পুরভোট। তার আগে শুক্রবার বিকেল থেকেই সব বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করল প্রশাসন। সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বাইক র্যালি, জমায়েত দেখলেই পুলিশকে পদক্ষেপের নির্দেশ কমিশনের। যদিও সন্ত্রাস থেকে ভোটলুঠ, নানা অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। সুষ্ঠু ভোটের আশ্বাস দিয়েছে শাসকদল।
ভোটের দিন বিজেপি প্রার্থীরা আক্রান্ত হলে কলকাতা অচল করার হুঁশিয়ারি। হলদিয়ায় রাস্তায় নেমে প্রতিরোধের ডাক শুভেন্দুর। শুধু গরম গরম কথা, জনভিত্তিই নেই, পাল্টা পার্থ।
কারও জন্য আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে থানায় জানান। অবাধ-শান্তিপূর্ণ ভোট সুনিশ্চিত করতে হবে। বার্তা অভিষেকের। ডায়মন্ডহারবারে এত লিড কীভাবে ? পাল্টা প্রশ্ন শুভেন্দুর।
১৬টি বরোর ১১৩৯ টি বুথ উত্তেজনাপ্রবণ, স্পর্শকাতর ৭৮৬। কলকাতা পুরভোটে উত্তেজনাপ্রবণ বুথের তালিকা প্রকাশ কমিশনের। রুট মার্চ কলকাতা পুলিশের।
প্রেক্ষাপট
কলকাতা: ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Forces) ছাড়াই হবে কলকাতার পুরভোট( KMC Election 2021)’।সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই কার্যত বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের (High Court) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ।তবে কলকাতার পুরভোটের ওপর নজর রাখবে কলকাতা হাইকোর্ট>
ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে আদালতে দেওয়া প্রতিশ্রুতি কি রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন রক্ষা করছে? তা দেখার জন্য পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে বিজেপির করা মামলা বিচারাধীন রাখল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
রবিবার কলকাতায় পুরভোট।বিজেপি চাইছে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হোক।রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভরসা রাখছে রাজ্য পুলিশের ওপর।এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলার শুনানিতে বিজেপির আইনজীবী দাবি করেন, বিধানসভা ভোটের আগে মানুষের মনে যে ভয় ছিল, এখন তার ১০ গুণ বেশি ভয় কাজ করছে।তখন, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী দাবি করেন, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের লক্ষ্যে কমিশন সবরকম পদক্ষেপ করেছে।
প্রধান বিচারপতি তখন কমিশনের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, বিজেপি অভিযোগ করছে, মানুষ তাঁদের পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে ভয়ে আছেন। এ নিয়ে আপনাদের কী বলার আছে?ভোটারদের মনোবল বাড়ানোর জন্য আপনারা কী করেছেন?
উত্তরে রাজ্য নির্বাচন কমিশন দাবি করে, প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ করা হয়েছে। এরপরই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে একাধিক প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, রাজ্যের তরফে যে পরিমাণ বাহিনীর কথা বলা হয়েছে, সেই সংখ্যক পুলিশকর্মী যে রাস্তায় নামবেনই, সেটা আপনারা নিশ্চিত করবেন কী করে? তার থেকে কম যদি থাকে, সেটা জানবেন কী করে? কোনও নির্দিষ্ট আধিকারিককে কি এ বিষয়ে আপনারা দায়িত্ব দিয়েছেন?কিছু ঘটলে তার দায় কার ওপর বর্তাবে?
জবাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন দাবি করে, সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। তখন কমিশনের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি ফের বলেন, আপনাদের হিসেবে দেখা যাচ্ছে, একটি বুথে ১ হাজার ২০০ ভোটার রয়েছে। ওই কেন্দ্রে ১৩টি বুথ আছে। তাহলে প্রায় ১৫ হাজার ভোটার আসবেন। তাদের নিরাপত্তার জন্য ৩৫ জন পুলিশ থাকবেন। আপনার (রাজ্য নির্বাচন কমিশন) কি মনে হয় এই সংখ্যক বাহিনী পর্যাপ্ত?
তখন কমিশন জানায়, পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের হাতে পর্যাপ্ত বাহিনী রয়েছে। প্রয়োজন পড়লে আরও বাহিনী দেওয়া হবে।
কবে থেকে রুট মার্চ শুরু হবে, তা জানতে চান প্রধান বিচারপতি। শুক্রবার বিকেল থেকেই রুটমার্চ শুরু করার কথা জানায় কমিশন।ভোটারদের মনোবল বাড়ানোর জন্য আর কী করা হয়েছে? পেট্রোলিং বা এরিয়া ডমিনেশন কীভাবে হবে, তাও জানতে চান প্রধান বিচারপতি। কোনও সন্তোষজনক উত্তর না পেয়ে, বিস্ময় প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, রবিবার ভোট, এখনও আপনাদের কাছে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই!
এদিন রাজ্য সরকারের তরফে আদালতে জানানো হয়, কলকাতা পুলিশের কাছে মোট ২৭ হাজার কর্মী আছে। রাজ্য পুলিশেরও পর্যাপ্ত বাহিনী আছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে কলকাতার পুলিশ কমিশনার, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং আইজি রয়েছেন।
কিন্তু, পরিস্থিতির যদি হঠাত্ পরিবর্তন ঘটে, যদি কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন হয়, তখন কী করবেন?রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চান প্রধান বিচারপতি।
উত্তরে রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, আমাদের পুলিশকর্মীরা যথেষ্ট দক্ষ। তারা যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারবেন।
তখন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল বলেন, আমাদের হাতে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী আছে। মানুষ যদি ভোট দিতে যেতে ভয় পায়, তাহলে ভয় দূর করতে আমরা কাজ করতে পারি। কমিশন চাইলে শনিবার সকালের মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়ে দেব।
কিন্তু, তখন রাজ্য নির্বাচন কমিশন বলে, এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই। সবপক্ষের সওয়াল শুনে প্রধান বিচারপতি বলেন, আদালতে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে দেওয়া সব প্রতিশ্রুতি পালন করা হচ্ছে কিনা, তা দেখার জন্য মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করা হল না।
এরপর রাতে ওয়েবসাইটে আপলোড হওয়া নির্দেশনামায় প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াই কলকাতায় পুরভোট হবে। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। ভোটারদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার, রাজ্য পুলিশের ডিজি।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -