রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: পুজোর আগে অনলাইন শপিংয়ে জিনিসপত্র কেনার ফাঁদ পেতে অবসরপ্রাপ্ত আইএএস-কে প্রতারণার অভিযোগ। রিজেন্ট পার্ক ও গলফ গ্রিন এলাকা থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতরা বিহার ও ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। তাদের আস্তানা থেকে উদ্ধার হয়েছে এটিএম কার্ড, মোবাইল ফোন, সিম কার্ড সহ বেশ কিছু সরঞ্জাম।  


প্রাক্তন IAS অফিসারকে অনলাইন শপিংয়ের নামে প্রতারণা। গ্রেফতার করা হল ৫ অভিযুক্তকে। করোনা পরিস্থিতিতে, অনলাইনে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনছেন অনেকেই। বিশেষ করে বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা।  আর ক্রেতাদের অনলাইন শপিংয়ে এই আগ্রহের বিষয়টি জেনেই ফাঁদ পাতছে প্রতারকরা। এবার প্রতারণার শিকার হলেন, সল্টলেকের বাসিন্দা, প্রাক্তন IAS অফিসার পি কে বর্মা। তাঁকে ঠকিয়ে ৪০ হাজারেরও বেশি টাকা গায়েবের অভিযোগ। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট ডেপুটি কমিশনার উমেশ গণপত বলেন, 'কীভাবে প্রতারণা করা হল ৮০ বছরের বৃদ্ধকে? তদন্তকারীদের সূত্রে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।'


অবসরপ্রাপ্ত ওই IAS অফিসারকে সম্প্রতি ২টি নম্বর থেকে ফোন করে কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। নিজেদের তারা একটি নামী অনলাইন শপিং সংস্থার প্রোমো টিম এক্সিকিউটিভ ও ডেসপ্যাচ অফিসার হিসেবে পরিচয় দেয়।  বিভিন্ন সামগ্রীর অফার প্রাইস জানিয়ে অবসরপ্রাপ্ত আইএএস-কে তাঁরা জিনিসপত্র কিনতে বলে।
 
অবসরপ্রাপ্ত IAS অফিসার নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধম্যে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৪০ হাজারের বেশি টাকা ট্রান্সফার করার পরই, ফোন বন্ধ করে দেয় প্রতারকরা। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম বিভাগ। এরপর রিজেন্ট পার্ক ও গলফ গ্রিন এলাকা থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করে তারা। ধৃতদের মধ্যে একজন বিহার ও বাকি চারজন ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের থেকে ১৯টি ATM কার্ড, ৪টি PAN কার্ড, ৬টি সিম কার্ড, ৪টি মোবাইল ফোন, একটি রাউটার, ব্যাঙ্কের পাশবই উদ্ধার হয়েছে। 


আরও পড়ুন: করোনা আবহে বন্ধ স্কুল, গ্রামে গ্রামে ক্লাস গিয়ে ক্লাস নেওয়া শুরু শিক্ষকদের