হিন্দোল দে, কলকাতা: রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন এক তরুণী।


পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগকারিণী ও ধৃত ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া, দু’জনেই পূর্ব পরিচিত। কলকাতার হরিদেবপুর এলাকায় একসঙ্গে আগে থাকতেন বলেও অভিযোগ দায়ের করার সময় জানিয়েছেন সেই তরুণী। যদিও এখন সেই তরুণী ও তাঁর পরিবার বিজয়গড় এলাকায় থাকেন।


ধৃতের নাম মহম্মদ সরফরাজ আলম। বাড়ি বিহারের মুঙ্গেরে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গতকাল চণ্ডীঘোষ রোডের একটি ফ্ল্যাটে তরুণীকে ডাকেন সেই অভিযুক্ত যুবক। সেই সময় ফ্ল্যাটটি ফাঁকা ছিল। তরুণী সেখানে গেলে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন সেই অভিযুক্ত যুবক।



অভিযুক্ত যুবক একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। ২০১৯ সালে  হরিদেবপুর থানা এলাকায় থাকার সুবাদে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার সঙ্গে তরুণীর পরিচয় হয়। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার একটি কলেজে পড়তেন। পরে অভিযোগকারিণী বিজয়গড় এলাকায় চলে আসেন।


পরিবার সূত্রে খবর, সম্প্রতি তরুণীর বিয়ে ঠিক করা হয়। তাই সেই তরুণী ইদানীং এড়িয়ে যেতেন অভিযুক্তকে। কিন্তু এতেই দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ হয়। তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করতে চাইছিলেন না সেই অভিযুক্ত যুবক। এরপই ফাঁকা ফ্ল্যাটে তরুণীকে ডাকেন অভিযুক্ত যুবক।


বুধবার সকালে রিজেন্ট পার্ক থানায় দায়ের হয় অভিযোগ। এদিনই চণ্ডীঘোষ রোডের ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করা হয় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াকে। ধৃতকে আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত। 


সম্প্রতি শহরের বুকে এমন ধর্ষণের অভিযোগ এই নতুন নয়। কিছুদিন আগেই গার্ডেনরিচ থানার পাহাড়পুর রোডে এক তরুণীকে হাত-পা বেঁধে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। গণধর্ষণ করে লুঠপাটের অভিযোগ উঠেছিল একদলের বিরুদ্ধে। এমনকী সেদিনও বাড়িতে একাই ছিলেন সেই তরুণী। তাঁকে ধর্ষণের পর নগদ অর্থ, সোনার গয়না, দামি সামগ্রী সব লুঠ করে নিয়ে চলে গিয়েছিল অভিযুক্তরা। পরপর এমন ঘটনায় মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।