ঝিলম করঞ্জাই ও সন্দীপ সরকার, কলকাতা : আয়ার মারে রোগীমৃত্যুর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আরজিকর হাসপাতালে। পরিবারের অভিযোগ, খাট থেকে রোগী পড়ে যাওয়ার পর তাঁকে খাটে তোলার আগে মারধর করে আয়ারা। যে ঘটনার পরই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়ে মৃত্যু হয় পেশায় অটোচালকের। রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে টালা থানা ও হাসপাতাল সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে টালা থানার পক্ষ থেকে। হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিবারের সম্মতিতেই আয়াদের রাখা হয়, এক্ষেত্রে হাসপাতালের মধ্যস্থতা করা ছাড়া সেভাবে কোনও ভূমিকা থাকে না। তবে পুলিশি তদন্তে হাসপাতালের পক্ষ থেকে সমস্ত রকম সহযোগিতা করা হবে। রোগীর দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।


পরিবারের সূত্রে জানা যাচ্ছে, মাস দেড়েক আগে পথদুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন পেশায় অটোচালক গোপাল দাস। মুখোমুখি একটি গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে বেশ গুরুতর চোট পেয়েছিলেন তিনি। যে দুর্ঘটনার পর তাঁকে প্রাথমিকভাবে ভর্তি করা হয়েছিল বারাসত মহকুমা হাসপাতালে। দিন পনেরো সেখানে চিকিৎসার পর তাঁকে স্থানান্তর করা হয়েছিল আর জি কর হাসপাতালে। সেখানে ক্রমশ চিকিৎসায় সুস্থও হয়ে উঠছিলেন তিনি। তাঁকে স্থানান্তর করা হয়েছিল মেল ওয়ার্ডে। সেখানে রোগীকে দেখভালের জন্য আয়া রাখা হয়েছিল। তাদের মারেই প্রায় সুস্থ হয়ে ওঠা তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ মৃতের স্বামীর।



মৃত রোগীর স্ত্রী জানান, প্রথমে তাঁর স্বামী নিজে আয়ার মারধরের কথা তাঁকে বলেন। বাকি রোগীরাও তাঁকে একই কথা জানিয়েছেন বলেও অভিযোগ তাঁর।দুর্ঘটনা জনিত আঘাত সারিয়ে ওঠার আগেই ফের আঘাতেই গতকাল রাতে তাঁর স্বামীর শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয় বলে অভিযোগ মৃতের স্ত্রীর। তাঁর আরও অভিযোগ, গোটা ঘটনা চিকিৎসককে জানানোর পর সেই চিকিৎসক যখন ওই আয়াকে ডেকে কারণ জানতে চান। তখন এড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। যদিও আয়ার মারে স্বামীর মৃত্যুর বিচার চেয়ে থানা ও হাসপাতাল সুপারের কাছে জোড়া আভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের স্ত্রী।