ময়ুখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: কলকাতার গঙ্গায় বার্ন স্ট্যান্ডার্ড ঘাটে ভেসে আসা এক ব্যক্তির মৃতদেহ ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, মারধরের পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। গত ২ জুলাই ওই দেহ ভেসে আসে। তাঁর পরিচয় জানার জন্য আশপাশের থানার মিসিং ডায়রি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
করোনা পরিস্থিতিতে গঙ্গায় মৃতদেহ ভেসে আসার ঘটনা অবাক করার মতো বিষয় নয়। উত্তরপ্রদেশ থেকে ভাসিয়ে দেওয়া দেহ নিয়ে আলোড়নও হয়েছে দেশজুড়ে। কিন্তু গত ২ জুলাই কলকাতায় গঙ্গার বার্ন স্ট্যান্ডার্ড ঘাটে যে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির দেহ ভেসে এসেছে, তাঁর ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর দানা বেঁধেছে রহস্য।
রবিবারই পুলিশের হাতে এসেছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। পুলিশ সূত্রে দাবি, সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে বছর ৪৫ এর ওই ব্যক্তিকে প্রথমে মারধর তারপর গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে।
ওই ব্যক্তির পরনে ছিল টি শার্ট ও ট্রাউজার্স। অজ্ঞাতপরিচয় ওই ব্যক্তির পরিচয় জানাই এখন পুলিশের কাজ।উত্তর বন্দর থানার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত খুনের মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দেহ যখন উদ্ধার হয় তখনও তাতে পচন ধরেনি। এর থেকে তদন্তকারীদের অনুমান, বেশিদিন আগে ওই ব্যক্তিকে খুন করে গঙ্গায় দেহ ভাসানো হয়নি।
মৃতের পরিচয় জানার জন্য কলকাতা ও আশপাশের থানার মিসিং ডায়রি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে অসংখ্য মরদেহ গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। যে দেহগুলোর দায় নেয়নি কেউই। ভাসতে ভাসতে ভিন রাজ্য থেকে মৃতদেহ ভেসে আসতে পারে বাংলায়, এ কথা ভেবে আগাম প্রস্তুতি নিয়েছিল রাজ্য সরকার। মৃতদেহ ভেসে এলে তা উদ্ধার করে সমস্ত সাবধানতা অবলম্বন করার পাশাপাশি সম্মানের সঙ্গে মৃতদেহগুলির অন্ত্যোষ্টির ব্যবস্থা করেছিল রাজ্য প্রশাসন। গঙ্গার জলে ভেসে আসা দেহগুলি হয়তো কোভিড রোগীদেরই, সেই কথা মাথায় রেখেই সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কার বিষয়টি মাথায় রেখেই যাবতীয় পদক্ষেপ নিয়েছিল প্রশাসন।