কলকাতা:  ফের কলকাতায় কল সেন্টারের আড়ালে প্রতারণার পর্দাফাঁস। রাজারহাটে সিআইডি-র জালে চক্রের পাণ্ডা-সহ ১২ জন। শহরে কল সেন্টারের নামে প্রতারণার কারবার চালানোর অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে সিআইডি। রাজারহাটের একটি বহুতলে অভিযান চালায়। 


সিআইডির দাবি, নামী সংস্থা থেকে কম সুদে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নামে গ্রাহকদের ফোন করে টোপ দেওয়া হতো। এভাবে বেশ কয়েকজনকে প্রতারণা করা হয় বলে অভিযোগ। তদন্তে নেমে চক্রের চার পাণ্ডা-সহ ১২ জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৪০টি মোবাইল ফোন ও বেশ কিছু নথি। 


সাম্প্রতিকাকেল, রাজ্যে একের পর এক প্রতারণার পর্দাফাঁস হয়েছে। কখনও ভুয়ো আইপিএস, কখনও ভুয়ো সিবিআই-কৌঁসুলি পরিচয় দিয়ে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।  কখনও আবার ‘ভুয়ো’ ডিএসপি পরিচয়ে প্রতারণার একের পর এক অভিযোগ সামনে এসেছে। 


গতকালই, মেডিক্যালে ভর্তির প্রতারণার অভিযোগের তদন্তে বড় চক্রের হদিশ পায় ঝাড়গ্রাম পুলিশ। ঝাড়গ্রামের এক ব্যক্তির থেকে ১২ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে লেকটাউন থেকে গ্রেফতার করা হয় শুভাশিস ও তাঁর সঙ্গী নীতু রায়কে।


এর আগে বৃহস্পতিবার, বিহারের কিষাণগঞ্জ জেলা আদালতের বিচারক ও নিলাম অফিসার পরিচয় দেওয়া এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। 


পুলিশ সূত্রে খবর, বিহারের কিষাণগঞ্জ জেলা আদালতের বিচারক এবং নিলাম অফিসার পরিচয় দিয়ে শিলিগুড়ির তিন বাসিন্দার কাছ থেকে ৯১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে কিষাণগঞ্জ থেকে মূল অভিযুক্ত ও তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ। 


৮৪টি গাড়ি ও বস্তা বস্তা গম নিলামে পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা করা হয় বলে অভিযোগ। কিষাণগঞ্জ থেকেই বুধবার পুলিশ গ্রেফতার করেছে মূল অভিযুক্ত সমীর কুমার দুবে ও তাঁর সহযোগী সায়েক আলমকে। 


অন্যদিকে, নদিয়ার তৃণমূল নেতা ও ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর শঙ্কর অধিকারীর দাবি, মাসখানেক আগে লাভপুরের বাসিন্দা এক যুবক তাঁকে একটি স্বর্ণমুদ্রা বিক্রি করে।


অভিযোগ, এরপর আরও ৯৫টি স্বর্ণমুদ্রা কেনার প্রস্তাব দেয় ওই যুবক। সেই অনুযায়ী, এক সঙ্গীকে নিয়ে মঙ্গলবার তৃণমূল নেতার বাড়িতে আসে ওই যুবক। ৯৫টি নকল স্বর্ণমুদ্রার বিনিময়ে ১২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ।