অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা : নিমতলা ঘাট স্ট্রিটের পর গার্ডেনরিচ। পরপর দু’ দিন শহরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। সকাল ১০টা নাগাদ তারাতলা রোডে গুদামে আগুন লাগে। প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন বিধ্বংসী আকার নেয়। গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। দমকলের ২০ টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। পে লোডার এনে টিনের ছাউনি ভেঙে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন দমকল কর্মীরা। বেশ কয়েকটি গুদাম পরপর জ্বলে গিয়েছে। দমকল, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, সিভিল ডিফেন্সের লোকজন  ঘটনাস্থলে রয়েছেন।  চলছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার অবিরাম প্রয়াস।  বেশ কয়েকটি জায়গায় দাউ দাউ আগুন জ্বলছে।  প্রায় গোটা গুদামই ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। এখানে একটা  বিশাল অংশে পরপর ১৩-১৪ টি গুদাম রয়েছে। প্রত্যেকটি গুদামও কার্যত পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে।  গুদামগুলিতে দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন আরও বিধ্বংসী আকার নয়।  গুদামগুলিতে পিচবোর্ড, কার্ডবোর্ড, ইলেট্রনিক সামগ্রী, অ্যালকোহলিক ইলিমেন্টেসের মতো উপাদান ছিল। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন বিধ্বংসী চেহারা নেয়।  দমকল কর্মীরা জানিয়েছেন,  ভেতরে ঢুকে আগুন নেভানোর  কোনও সুযোগই এখন  নেই। কারণ, গুদামের  ভেতরে এই মুহূর্তে প্রবল তাপ ও ধোঁয়া রয়েছে। ফলে বাইরে থেকেই আগুন নেভানোর কাজ চলছে। 


দমকল সূত্রে খবর, আগুন নেভানোর প্রক্রিয়া দীর্ঘতর হতে পারে। বিকেল গড়িয়ে সন্ধে, এমনকি সারা রাত পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলতে পারে। জেসিবি মেশিন ব্যবহার করে গুদামের কাঠামো ভেঙে জল ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।  ইলেকট্রিক কাটার নিয়ে আসা হয়েছে। সেই কাটার ব্যবহার করে কাঠামো ভেদ করে বাইরে থেকে জল ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। 


 উল্লেখ্য, যখন আগুন ধরে, তখন  হাওয়ার তেজ বেশ ছিল। ফলে  আগুন দ্রুত  ছড়িয়ে পড়েছিল। দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকায় বাইরে থেকেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। শুরুতে কালো ধোঁয়ায় পুরো এলাকা ঢেকে গিয়েছিল। দৃশ্যমানতা নগন্য হয়ে পড়েছিল। সময় গড়ালে ধোঁয়ার পরিমাণ কিছুটা কম হলেও তা এখনও  যথেষ্টই রয়েছে। 
বেলার দিকে দমকলমন্ত্রী ঘটনাস্থলে আসেন। বিভিন্ন থেকে  দিক দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।