ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: রবিবার শেষ দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তার পর থেকে আর খোঁজ না মেলায় সন্দেহ এবং শেষে বন্ধ ফ্ল্যাট খুলতেই উদ্ধার মৃতদেহ। মঙ্গলবার এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল গড়ফায়। কী কারণে খুন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ (Elderly Man found Dead)।
বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার দেহ
ফের কলকাতার (Kolkata News) বুকে দেহ উদ্ধার একাকী বৃদ্ধের। বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল প্লাস্টিক ও কম্বলে মোড়ানো মৃতদেহ। ফ্ল্যাট থেকে উধাও টিভি, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন। লুঠের উদ্দেশেই কি খুন? না, খুনের নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
২/১৮৩ বিজয়গড়। এই আবাসনের দোতলায় একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন নিধিরচন্দ্র কুণ্ডু। মঙ্গলবার সকালে তাঁরই রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতের প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগে বছর ৬৭-এর এই ব্যক্তির স্ত্রী মারা যান। তাঁদের কোনও সন্তান নেই। সেই থেকে এই ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন নিধির।
স্থানীয়দের দাবি, রবিবারও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। খোশমেজাজে আড্ডাও দেন। কিন্তু তারপর থেকে হঠাত্ বেপাত্তা হয়ে যান। খবর যায় আত্মীয়দের কাছে। মঙ্গলবার ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে ফ্ল্যাটের দরজা খুলে নিধির কুণ্ডুর মৃতদেহ প্রথমে দেখতে পান আত্মীয়রাই। পরে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
প্রতিবেশি একজন বলেন, "রবিবারও দেখা গল, আমার সাথে ইয়ার্কি করল।" মৃতের ভাই অধীর কুণ্ডু বলেন, "এক প্রতিবেশী আমাকে ফোন করে বলল ২ দিনের পেপার পড়ে রয়েছে। গিয়ে আমরা দেখলাম।"
সূত্রের খবর, খাটের নীচে মৃতদেহের উপর এবং নীচের অংশ প্লাস্টিকে মোড়া ছিল। তার উপর চাপা দেওয়া ছিল কম্বল এবং চাদর। এছাড়াও ঘরের মেঝেয় চাপ চাপ রক্ত পড়ে ছিল বলে অভিযোগ।
মৃতের আত্মীয়দের দাবি, ফ্ল্যাট থেকে টিভি, মোবাইল ও ল্যাপটপ খোয়া গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, শেষবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপিতে মৃতের মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন পাওয়া গেছে।
প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি লুঠের জন্যই খুন করা হয়েছে? কিন্তু কারা খুন করল এই ব্যক্তিকে? অভিযুক্তরা কি মৃতের পূর্ব পরিচিত? ফ্ল্যাটের উল্টোদিকের বাড়িতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। অভিযোগকারীদের চিহ্নিত করতে পুলিশ তার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে।
বিষয়টির তদন্তে পুলিশ
কলকাতা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ডিসি (এসএসডি) অতুল ভেঙ্কটেশ বলেন, "প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে লুঠের উদ্দেশে খুন।" এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে লালবাজারের ফরেন্সিক দল।