কলকাতা: মুচিপাড়াকাণ্ডে ধৃত বিজেপি নেতা সজল ঘোষের জামিন। ২০ হাজার টাকার বন্ডে প্রদীপ ঘোষের ছেলে সজলের জামিন। শুক্রবার বাড়ির দরজা ভেঙে সজলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সার্চ ওয়ারেন্ট, পুলিশ হেফাজতের আর্জি খারিজ করল আদালত। 


মুচিপাড়াকাণ্ডে ধৃত বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয় আজ। ২৫ তারিখ পর্যন্ত নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাল পুলিশ। আবেদন জানাল হল বাড়িতে সার্চ ওয়ারেন্টের।


পুলিশের দাবি, ঘটনার দিন বিজেপি নেতার হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। অস্ত্র উদ্ধার ও পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহে গতকাল সজল ঘোষকে নিয়ে তাঁর বাড়িতে তল্লাশিতে যায় পুলিশ। সেখানে বিজেপি নেতার পরিবার পুলিশ কর্মীদের বাধা দেয় বলে অভিযোগ।


সজল ঘোষের পরিবারের দাবি, তল্লাশিতে আসেইনি পুলিশ। ২দিন পুলিশ হেফাজতে রেখেও কোনও অস্ত্র উদ্ধার হয়নি, পাল্টা জামিনের সওয়াল সজল ঘোষের আইনজীবীর। আজ ব্যাঙ্কশাল কোর্টে যান বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ।


গত ১৪ জুলাই ধৃত বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে জামিন দেয়নি না আদালত। পুলিশ হেফাজতেই থাকতে হয়তাঁকে। শনিবার সজল ঘোষের অনুগামীদের স্লোগান-সাউটিংয়ের জেরে, সরগরম হল ব্যাঙ্কশাল আদালত চত্বর। 


বিজেপি নেতা সজল ঘোষের অনুগামীদের বিরুদ্ধে ১২ জুলাই রাতে মুচিপাড়া থানায় এক যুব তৃণমূল নেতার স্ত্রীকে ইভ টিজিংয়ের অভিযোগ দায়ের হয়। শুক্রবার সকালে আবার মুচিপাড়া থানার পাশে সজল ঘোষের অনুগামীদের একটি ক্লাবে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতা দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে।


সজল ঘোষের অভিযোগ, শুক্রবার সকালে তাঁরা এবিষয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও, পুলিশ অভিযোগ নেয়নি। সকালেই মুচিপাড়া থানায় সজল ঘোষ এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্র দেখিয়ে মারধর এবং দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপরই পুলিশ সজল ঘোষের বাড়িতে পৌঁছে যায় এবং লাথি মেরে, সদর দরজা ভেঙে তাঁকে গ্রেফতার করে। 


আরও পড়ুন: জামিনের আবেদন খারিজ, সজল ঘোষকে ২ দিনের পুলিশ হেফাজত


আরও পড়ুন: বিজেপির 'পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও দিবস' ঘিরে ধুন্ধুমার, গ্রেফতার দিলীপ-শুভেন্দু