কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: গত বছর পথ দেখিয়েছিল ত্রিধারা সম্মিলনী। হোস পাইপের মাধ্যমে গঙ্গার জলে প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা করছে কলকাতা পুরসভা। দইঘাটে পরীক্ষামূলক ভাবে তৈরি হয়েছে ব্যবস্থা। নতুন এই পদ্ধতি নিয়ে আশাবাদী কলকাতা পুরসভা।


ষষ্ঠীতে দেবীর বোধন। তবে বাঙালির পুজো শুরু হয়ে গেছে তার আগে থেকেই। তবে সকলে যখন পুজো উপভোগ করতে ব্যস্ত, তখন কলকাতা পুরসভা বিসর্জনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। বিসর্জনের কথা উঠলেই, চলে আসে দূষণের বিষয়টা। সেই দূষণকে দূরে রেখেই বিসর্জনের জন্য উদ্যোগ নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। 


বোধনের দিনই শুরু হলে গেল বিসর্জনের প্রস্তুতি। দইঘাটে ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ শুরু করল কলকাতা পুরসভা। গত বছর পথ দেখিয়েছিল, ত্রিধারা সম্মিলনী। মনোহর পুকুর রোডে মণ্ডপের অদূরে তৈরি কৃত্রিম জলাধারে, ফায়ার ব্রিগেডের হোস পাইপের জলে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়েছিল।


এবারের সেই পদ্ধতিই পরীক্ষামূলকভাবে নিতে চলছে কলকাতা পুরসভা। দইঘাটে জেটির উপর রাখা হয়েছে পাম্প। সেখান থেকে আনা হবে গঙ্গার জল। দইঘাটে তৈরি হয়েছে লোহা ও ইটের কাঠামো। 
এখানে, হোস পাইপের মাধ্যমে গঙ্গার জল দিয়ে প্রতিমার রং-মাটি ধুয়ে ফেলা হবে। সেই দূষিত জলকে শোধন করে আবার ফেলা হবে গঙ্গায়।


প্রতিমার কাঠামো নিয়ে যাওয়া হবে ধাপায়। ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখতে সোমবার দইঘাট পরিদর্শনে আসেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম ও প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস কুমার।


কলকাতা পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাসমিনিস্ট্রেটর্স, চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, গঙ্গায় রং ও সিসা যাচ্ছে, দূষণ হচ্ছে, বলছেন পরিবেশ বিদরা। ত্রিধারায় গতবছর হয়েছিল, সেখান থেকে কনসেপ্ট এসেছে। হাইড্রেনের মাধ্যমে রং-মাটি সরিয়ে ফেলা হবে। এটা ছোট ঠাকুর দিয়ে ট্রায়াল করা হচ্ছে। সফল হলে, আগামী বছর সব ঘাটে করব।


তবে এবছর, দইঘাটে এই পদ্ধতিতে বিসর্জনকে বাধ্যতামূলক করছে না কলকাতা পুরসভা। কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস কুমার জানিয়েছেন, অনেক পুজো উদ্যোক্তা চাইছিল। পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের গাইডলাইন আছে। তবে, এটা বাধ্যতামূলক করছি না। গঙ্গার জল দিয়ে বিসর্জন হবে, আর গঙ্গা দূষণও হবে না।


নতুন এই পদ্ধতিতে বিসর্জন করতে কত সময় লাগছে? মানুষ এটা কীভাবে নিচ্ছেন?তার উপর ভিত্তি করে, আগামী দিনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।