প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: লিভ-ইন পার্টনারের মৃত্যুর ঘটনায় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীকে গ্রেফতার করল নিউটাউন থানার পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়েছে। ১৫ জুলাই থাকদাঁড়ি এলাকায় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর রিচা সিংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, মাস ছয়েক ধরে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী দেবব্রত পতির সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন রিচা। গত বৃহস্পতিবার তাঁদের মধ্যে বচসা, হাতাহাতি হয়। দেবব্রত ধাক্কা মারায় পড়ে গিয়ে আঘাত পান রিচা। এরপর তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আজ ভোরে অভিযুক্ত লিভ-ইন-পার্টনারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


যাঁর সঙ্গে থাকতেন, তাঁকেই কি খুন করলেন? নিউটাউনে এক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর গ্রেফতারির ঘটনায় এই প্রশ্নই উঠছে। লিভ-ইন পার্টনারের রহস্য মৃত্যুর চার দিনের মাথায় সোমবার রাতে, দেবব্রত পতি নামে এই তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাড়ির মালিক বলেন, ৪ মাস ধরে থাকত, গণ্ডগোল হতে বলে জানতে পারিনি।  ১৫ তারিখ জানায় বউ অসুস্থ বোধ করছে, তুমি একবার এস, ওলা বুক করে নিয়ে যায়।



পুলিশ জানিয়েছে, মালদার বাসিন্দা দেবব্রত পতি একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী। ধানবাদের বাসিন্দা রিচা সিং ওই একই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করতেন। সেই সূত্রে দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। নিউটাউনের থাকদাঁড়িতে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে থাকা শুরু করেন দেবব্রত এবং রিচা। করোনাকালে দু’জনই ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতেন। পুলিশ জানতে পেরেছে, ১৫ জুলাই দু’জনের মধ্যে বচসা হয়। সেই বচসা থেকে হাতাহাতিও হয় বলে জানা গিয়েছে। দেবব্রতর ধাক্কায় পড়ে গিয়ে আঘাত পান রিচা। মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরই রিচার পরিবার খুনের অভিযোগ দায়ের করে। কীভাবে মৃত্যু?  সেই  কারণ জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। দেবব্রত ও রিচা যে ঘরে থাকতেন, সেই ঘরে জিনিসপত্র লণ্ডভণ্ড অবস্থায় পড়েছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, পাওয়া যায় মদের বোতলও। পুলিশ ঘরটি সিল করে দিয়েছে।