কলকাতা: সোমবার বন্ধ হয়ে গেল ব্রিটানিয়া কোম্পানির তারাতলায় অবস্থিত কারখানার (Britannia Industries' factory) উৎপাদন। তারাতলার (Taratala) উৎপাদন ইউনিটকে স্থানান্তরিত করা হল মহেশতলা ও হাওড়ার ধূলাগড়ে থাকা ব্রিটানিয়া কোম্পানির অন্য দুটি কারখানাতে। তার ফলে কাজ হারালেন ব্রিটানিয়ার বহু পূর্ণ সময়ের কর্মী। পূর্ণ সময়ের কর্মীদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে স্বেচ্ছাবসর দেওয়া হয়েছে। তারাতলার কারখানাটি এবার থেকে গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করবে ব্রিটানিয়া কোম্পানি। যেখানে চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা কাজ করবেন।


কারখানা সূত্রে জানা গেছে, কলকাতা শহরে ট্রাক ঢোকা ও বেরোনোর সমস্যা হয়। তাই তারাতলায় থাকা কারখানাটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 


আরও পড়ুন: College Admission Portal: প্রথম দিনেই ৬৮ হাজার আবেদন! কেমন কাজ করল কলেজে ভর্তির পোর্টাল?


তারাতলায় ব্রিটানিয়ার কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে জল্পনার মাঝেই এই বিষয়ে টুইট করে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে তোপ দাগলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তিনি টুইট করেন,  "আজ ব্রিটানিয়া ইন্ডাস্ট্রিজের কারখানা বন্ধ হওয়ার বিষয়টি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে যে একসময়ে সংস্কৃতি ও মেধার দিকে সমৃদ্ধ বাংলা আজ অত্যন্ত বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে।"


তিনি আরও লেখেন, "একসময়ে ব্রিটানিয়া কারখানা বাংলায় শিল্পের প্রাণশক্তির আলো হিসেবে পরিগণিত হত। কিন্তু, বামেদের শাসনকালে সিপিএমের অতিরিক্ত 'ইউনিয়নবাজি'র জন্য এই কারখানার উল্লেখ্যযোগ্য ক্ষতি হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের লাগাতার 'তোলাবাজি' ছিল এই কারখানার কফিনে শেষ পেরেক। যা শেষ পর্যন্ত কারখানাটিকে বন্ধই করে দিল। বাংলায় আজ তৃণমূল কংগ্রেসের তোলাবাজি ও সিন্ডিকেট রাজের জন্য এমনিতেই বেকারত্ব জ্বালায় জ্বলছেন প্রচুর মানুষ। সেখানে এই কারখানা বন্ধের ঘটনা তা আরও বাড়িয়ে দিল। প্রচুর মানুষ কর্মচ্যুত হলেন। দুর্ভাগ্যবশত, বাংলার ভাগ্য এখন 'ইউনিয়নবাজি' এবং 'তোলাবাজি'র জোড়া অভিশাপে আটকে পড়েছে। এখন একটাই প্রশ্ন হল, এই অভিশাপ থেকে কবে মুক্তি পাবে বাংলা?"






এপ্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, "এটা ব্রিটানিয়া কোম্পানির ম্যানেজমেন্টের বিষয়। এর সঙ্গে যাঁরা রাজ্যের সামগ্রিক শিল্প পরিস্থিতির বিষয়টি মেলাতে চাইছেন তাঁরা ভুল করছেন। যদি ওই কোম্পানির কোনও একটি কারখানা রাজ্যে সমস্যায় থাকে তাহলে আপনারা দেখবেন এখানে আরও অনেক বিস্কুট কারখানা তৈরি হয়েছে। তারা ভালোই চলছে। বহু মানুষ চাকরি পাচ্ছে। ফলে কোনও একটা সেক্টরের কোনও সংস্থার একটি ব্রাঞ্চে যদি সমস্যা থাকে তাহলে তাদের ম্যানেজমেন্ট সেটা দেখে নেবেন। এর সঙ্গে রাজ্যের সামগ্রিক শিল্প পরিস্থিতির তুলনা করে যাঁরা নেতিবাচক কথা বলছেন তাঁরা ভুল করছেন।" 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।