ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: জেল থেকে জামিনে ছাড়া পাবে দুষ্কৃতী। জানতে পেরে জেলের বাইরে তাকে খতম করার পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলেছিল প্রতিপক্ষ। অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জেলের সামনে পৌঁছেও গিয়েছিল ছাব্বিশজন দুষ্কৃতীর একটি দল। হামলার ছক বানচাল করে সবাইকে গ্রেফতার করল পুলিশ।


জেলের বাইরেই প্রতিপক্ষ গ্যাংয়ের পাণ্ডাকে শেষ করার ছক! ফিল্মি কায়দায় ছক বানচাল করল পুলিশ। কসবার দুই কুখ্যাত দুষ্কৃতী মুন্না পাণ্ডে আর সোনা পাপ্পু। দু’জন একে অপরের প্রতিপক্ষ। বৃহস্পতিবার দুপুরে জামিনে জেল থেকে ছাড়া পায় মুন্না পাণ্ডে। 


পুলিশ সূত্রে খবর, মুন্না ছাড়া পেতে চলেছে, সেই খবর আগেভাগে পৌঁছে যায় তার প্রতিদ্বন্দ্বী সোনা পাপ্পুর কাছে। পথের কাঁটাকে সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় সে। ঠিক হয় মুন্না জেল থেকে বেরোতেই তার ওপর হামলা চালানো হবে। সেইমতো ২৬ জন দুষ্কৃতীর একটি দলকে প্রেসিডেন্সি জেলের বাইরে পাঠিয়ে দেয় সোনা পাপ্পু। 


আগ্নেয়াস্ত্র, চপার, লোহার রড নিয়ে জেলের কাছাকাছি পৌঁছে যায় সোনার বাহিনী। কিন্তু অন্ধকার জগতের গতিবিধির খবর সব সময় তো ওয়ান ওয়ে হয় না। লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখার কাছে পৌঁছে যায় সোনা পাপ্পুর প্ল্যান।  


প্রেসিডেন্সি জেল যে থানার আওতায় পড়ে, সেই হেস্টিংস থানার পুলিশকে নিয়ে যৌথ অপারেশনে নামেন কলকাতা পুলিশের সদর দফতরের গুন্ডাদমন শাখার অফিসাররা। মুন্না জেল থেকে বেরনোর আগেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২৬ জন দুষ্কৃতীকে অস্ত্র সমেত হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিশ।  


পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের কয়েকজনের কাছ থেকে ওয়ান শটার পিস্তল, তাজা কার্তুজ, চপার ও লোহার রড উদ্ধার হয়েছে। এই জেল থেকে বেরনোর কথা ছিল মুন্নার। এখানে দাঁড়িয়েছিল। এখান থেকে পুলিশ ধরে ফেলে। ২৬ জন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা ও অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধৃতদের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জামিনে থাকা সোনা পাপ্পুর বিরুদ্ধেও খুনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।