কলকাতা: সেঞ্চুরি পার করেছে আগেই। এবার কলকাতায় দামে নতুন রেকর্ড গড়ল পেট্রোল ও ডিজেল। সাধারণ মানুষের ঘাড়ে বোঝা কয়েকগুণ বাড়িয়ে, টানা চারদিন বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম। 


আজ, ৩০ অক্টোবর, শনিবার কলকাতায় পেট্রোলের দাম বাড়ল লিটারে ৩৪ পয়সা। অন্যদিকে লিটারে ৩৫ পয়সা বাড়ল ডিজেল। এরফলে, এদিন কলকাতায় পেট্রোলের দাম হল লিটারে ১০৯ টাকা ৪৬ পয়সা। অন্যদিকে, লিটারপ্রতি ডিজেলের দাম হল ১০০ টাকা ৮৪ পয়সা। 


গতকালই, রাজ্যের ২৩টি জেলাতেই প্রথমবার তিন অঙ্কে পৌঁছে যায় ডিজেল। মেট্রো শহরগুলির মধ্যে মুম্বই, চেন্নাইয়ের পর কলকাতায় পেট্রোল ১১০-এর দোরগোড়ায় পৌঁছে গেল। চলতি মাসে লিটারে ডিজেল বেড়েছে সাত টাকারও বেশি। অন্যদিকে পেট্রোল বেড়েছে প্রায় সাত টাকা।


জ্বালানির জ্বালায়  সাধারণ মানুষকে যে কী পরিমাণ ছ্যাঁকা খেতে হচ্ছে, তা স্পষ্ট পরিসংখ্যানেই। ২০১০ সালের ২৬ জুন ডিজেলের দাম ছিল লিটার পিছু ৪০ টাকা ১০ পয়সা। শুক্রবার সেই দাম ১০০ টাকা ৪৯ পয়সা। অর্থাৎ ১১ বছরে লিটারে ডিজেলের দাম বেড়েছে ৬০ টাকা ৩৯ পয়সা। এর মধ্যে গত দশ মাসেই ডিজেলের দাম বেড়েছে ৩০ টাকা ১৩ পয়সা।


আরও পড়ুন: বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমলেও এদেশে কমেনি পেট্রোলের দাম


২০১০ সালের ২৬ জুন পেট্রোলের দাম ছিল লিটার পিছু ৫১ টাকা ৪৩ পয়সা। শুক্রবার সেই দাম ১০৯ টাকা ১২ পয়সা। অর্থাৎ ১১ বছরে লিটার পিছু পেট্রোলের দাম বেড়েছে ৫৭ টাকা ৬৯ পয়সা। এর মধ্যে শুধু গত দশ মাসেই পেট্রোলের দাম বেড়েছে ২৩ টাকা ৯৭ পয়সা। 


রকেটগতিতে জ্বালানিরদামবৃদ্ধি নিয়ে মোদি সরকারকে আক্রমণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, হেঁশেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে, আর উনি থালা বাজাচ্ছেন। 


জিএসটি-র প্রসঙ্গ টেনে পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, রাজ্য জিএসটি-র আওতায় আনতে সম্মতি দিলে দাম কমবে পেট্রোল, ডিজেলের। 


আরও পড়ুন: বেড়েই চলেছে পেট্রোপণ্যের মূল্য, বিমানের তুলনায় ৩০ শতাংশ বাড়ল অটোর জ্বালানির দাম


পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধি মানে পরিবহণ খরচ বেড়ে যাওয়া। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিসের দাম বাড়বে। ইতিমধ্যে সর্ষের তেলের দাম দু’শো পেরিয়েছে। চড়চড়িয়ে বাড়ছে আলু-পেঁয়াজের দামও। 


পেট্রোল-ডিজেলের দাম এভাবে বাড়তে থাকলে, মানুষ কীভাবে বাঁচবে? কী খাবে? সেই প্রশ্নই তুলছেন সকলে।