সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: সকাল সকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে নিজের এলাকায় প্রচার নামলেন ফিরহাদ হাকিম। চেতলার জেলেপাড়ায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে চলল প্রচার। 


ভবানীপুর উপনির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে জোর কদমে প্রচার শুরু করেছেন মন্ত্রী। ভোট দেওয়ার আবেদন জানানোর পাশাপাশি, ভোটারদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন দলনেত্রীর বার্তা।


আপাতদৃষ্টিতে দেখলে একটা মাত্র বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচন। যার সঙ্গে সরকার পড়া-গড়ার কোনও সম্পর্ক নেই। 


তা সত্ত্বেও, এই একটি কেন্দ্রের উপ নির্বাচনের দিকে নজর গোটা দেশের। কারণ, এই কেন্দ্রের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই ভোটের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীত্বের সম্পর্ক জড়িয়ে রয়েছে।


আর একবালপুরের প্রথম নির্বাচনী সভা থেকে সেই প্রসঙ্গই উঠে এল খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। তৃণমূল প্রার্থী বলেন, বৃষ্টি হল, ভাবলেন, দিদি তো এমনিই জিতে যাবে, যাওয়ার দরকার নেই। দয়া করে এটা করবেন না। আপনার একটা ভোট না পেলে, মনে রাখবেন, আমাকে কিন্তু আপনারা পাবেন না, সেই জন্য আপনাদের একটা ভোট খুব দরকার। আমার টিএমসির মেজরিটি আছে। কিন্তু বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য, আমি যদি জিততে না পারি, তাহলে কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী অন্য কেউ হবে, আমি কিন্তু হতে পারব না।


এরপর চেতলার নির্বাচনী সভা থেকেও সেই একই মন্তব্য শোনা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। বলেন, একটা ভোটও গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমি মুখ্যমন্ত্রী হতে পারব। এটা চ্যালেঞ্জিং ভোট। 


ভবানীপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের হয়ে প্রচার করতে এসেছেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। গতকাল তিনি ভবানীপুর অঞ্চলের অন্তর্গত রয়েড স্ট্রিটে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার সারেন। 


পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী যখন ভবানীপুরে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচার করছেন, তখন ভারতে পেট্রোপণ্যের এই রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন, ভবানীপুরের তৃণমূল প্রার্থী।


নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


তৃণমূলনেত্রী বলেন, পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়েছে। শুনেছি কলকাতায় ভবানীপুরে এসেছেন গ্যাস মিনিস্টার। পেট্রোলিয়াম মিনিস্টার, গ্যাসের দাম কমাবেন? পেট্রোলের দাম কমাবেন? ডিজেলের দাম কমাবেন? মিটিং করে কী বলবেন?


জবাবে পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র ৩২ টাকা কর নেয়। সেই টাকা দিয়ে জনকল্যাণমূলক কাজ হয়। রাজ্যগুলো কিছু টাকা কম ভ্যাট নিক, সেটা বলা হয়েছিল। কিন্তু এই রাজ্য কমায়নি। জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে রাজ্যের প্রতিনিধিই আপত্তি জানিয়েছে, কেন্দ্র কমালে ফ্রি-তে ভ্যাকসিন কীভাবে দেবে? রেশন কীভাবে দেবে?


আরও পড়ুন: ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে হরদীপ সিংহ পুরী, চায়ের আড্ডায় সারলেন জনসংযোগ


আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর গড়ে প্রচার, বাধা পুলিশের, বচসায় জড়ালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি