পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: প্রগতি ময়দান থানা এলাকায় ২৩ দিনের শিশুকন্যার মর্মান্তিক মৃত্যু। বালিশের ওয়াড় নাকে-মুখে জড়িয়ে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় বলে দাবি পরিবারের। জানা যায়, উঁচুপোতায় মামার বাড়িতে ছিল সদ্যোজাত। গতকাল দুপুর ঘুমিয়ে থাকার সময় এই ঘটনা ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ শিশুর মৃত্যু হয়। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ।                       


প্রগতি ময়দান থানা এলাকার খানাবেড়িয়ায় মামার বাড়িতে ছিল সদ্যোজাত। পরিবারের দাবি, গতকাল দুপুরে অসতর্কাবশত মায়ের হাত লেগে ঘুমন্ত শিশুর ওপর বালিশ চাপা পড়ে।                 


অন্যদিকে, ২ মাসের শিশুর মৃত্যু হল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শিশুর পরিবার বানারহাটের বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে খবর, জ্বর ও সর্দিকাশির সমস্যা নিয়ে মঙ্গলবার থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিল ওই শিশু। শুক্রবার তার মৃত্যু হয়। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দাবি, সেপ্টিসেমিয়ায় মৃত্যু হয়েছে শিশুর।                  


আরও পড়ুন, "বাঘের মতো বসে আছি শিকারের অপেক্ষায়, বিশ্বভারতী খুললেই বুঝিয়ে দেব", বিস্ফোরক অনুব্রত


এছাড়াও, জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে এখন ভর্তি রয়েছে ১০০ জন শিশু। পাশাপাশি, ডুয়ার্সেও জ্বরে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। ধূপগুড়ি হাসপাতালের সামনে লম্বা লাইন। অধিকাংশ শিশুরই জ্বর, সর্দি-কাশির মতো সমস্যা রয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বেশ কয়েকটি শিশু। চার শিশুকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।          


অন্যদিকে, শিশু মৃত্যু নিয়ে চিন্তা বাড়ছে। মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আরও এক শিশুর মৃত্যু। এ নিয়ে ৪দিনে মৃত্যু হল ৬ শিশুর। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও মৃত্যু হয়েছে এক বালিকার। জলপাইগুড়ি ও পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর হাসপাতালেও জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি বেশ কয়েকজন শিশু। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেওয়া হয়েছে প্রস্তুতি।