কলকাতা: শহরে সাত সকালে  মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বাঘাযতীন উড়ালপুল থেকে নামার সময় বেসরকারি বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হল স্কুটার আরোহীর। সকাল ৯টা নাগাদ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গড়িয়া স্টেশন থেকে বাগবাজারগামী বেসরকারি বাসটি বাঘাযতীন উড়ালপুল থেকে নামার সময় স্কুটারে ধাক্কা মারে। রাস্তায় পড়ে যাওয়ায় স্কুটার আরোহীকে পিষে দিয়ে চলে যায় বাস। জানা গেছে, খুবই দ্রুত গতিতে আসছিল বাসটি। স্কুটার আরোহীকে ধাক্কা দেওয়ার পর তিনি পড়ে যান। এরপর যাত্রীরা বাস থামাতে বললেও তাতে কর্ণপাত করেননি চালক।  যাত্রীদের অভিযোগ, চলন্ত বাস লাফ দিয়ে নেমে দৌড়ে পালান চালক ও কনডাক্টর। এক যাত্রী শেষে চলন্ত বাসটিকে থামান। ফলে কোনওক্রমে রেহাই পান যাত্রীরা।  পরে কনডাক্টরকে আটক করে সার্ভে পার্ক থানার পুলিশ। বাসের কয়েকজন যাত্রীও আহত হন।  ওই স্কুটার আরোহীকে সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী একটি হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় লোকজন ও ট্রাফিক গার্ডের কর্মীরা। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। 


জানা গেছে, বাসের কয়েকজন যাত্রীরও আঘাত লেগেছে।  বাসে প্রায় ৫০ জনের মতো যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত যাত্রীরা।  কন্ডাক্টর আটক হলেও এখনও ফেরার চালক।


 উল্লেখ্য, গতকালই  পূর্ব বর্ধমানের দেওয়ানদিঘিতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল।  গাড়ি ও লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল ৫ জনের।  মৃতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।  গতকাল শুক্রবার ভোরে কলকাতা থেকে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা ফিরছিলেন একই পরিবারের ১২ জন। ফেরার পথে  দেওয়ানদিঘির কামনাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। উল্টো দিক থেকে আসা একটি লরির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় ওই গাড়িটির।    পুলিশ সূত্রে খবর, ৫ জনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। বাকি সাত জনকে ভর্তি করা হয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মৃতরা সবাই বড়ঞার থানা এলাকার একটি গ্রামের বাসিন্দা। দুর্ঘটনার খবর আসতেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। 


জানা গেছে একটি বোলেরো গাড়ি করে চালক সহ বারো জন কোলকাতা বিমানবন্দর থেকে থেকে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা ফিরছিলেন। ভোর ৪ টে নাগাদ বর্ধমান কাটোয়া রোডের কামনাড়া এলাকায় তাদের গাড়িটির সাথে একটি লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। আহত হন বারো জন। তাদের মধ্যে চার জনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। আরও একজনকে হাসপাতালে মৃত ঘোষণা করা হয়।  চালক সহ বাকি আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।