কলকাতা: রাতের শহরে ফের বেপরোয়া গতির বলি। বেলেঘাটা জোড়া মন্দিরের কাছে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক ভ্যান চালকের। রাত ১টা নাগাদ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, শিয়ালদা থেকে ইএম বাইপাসের দিকে যাওয়ার সময় বেপরোয়া গাড়িটি ভ্যানে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ভ্যান চালকের। ঘাতক গাড়ির খোঁজ মেলেনি।
শহর কলকাতায় সাম্প্রতিক অতীতে একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। শনিবার সন্ধ্যায় জিঞ্জিরা বাজারে স্কুটারে বেপরোয়া লরির ধাক্কায় ১ স্কুটার আরোহী যুবকের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অন্য এক আরোহীকে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, একটি স্কুটারে চেপে দুই যুবক গার্ডেনরিচ থেকে তারাতলার দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তারাতলা দিক থেকে আসা একটি ১০ চাকার গাড়ি দুই যুবককে ধাক্কা মারে। এক যুবকের মাথার উপর দিয়ে গাড়ির চাকা চলে যায়।
ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় যুবকের। আর এক যুবকের পায়ের উপর দিয়ে গাড়ির চাকা চলে যায় তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম কিঞ্জল মুখোপাধ্যায়। বয়স ২৬। গুরুতর আহত যুবকের নাম সায়ক মুখোপাধ্যায়। বয়স ২৮। দুজনের বাড়িই বেহালা জোতিষ রায় রোডে।
ঘাতক গাড়িটি পলাতক। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ঘাতক গাড়িটি চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে।
এর আগে, গত ৬ তারিখ, কালীঘাটে বাইকের ধাক্কায় পথচারীর মৃত্যু হয়। এসপি মুখার্জি রোডে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। বাইকচালককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তার আগে, গত ১ তারিখ, রেড রোডে ফোর্ট উইলিয়ামের সামনে মিনিবাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক পুলিশ কর্মীর। আহত হন বাসের ১৯ জন যাত্রী। পরে পুলিশ ঘাতক বাসের চালককে গ্রেফতার করে।
এই ঘটনার ঠিক ২ দিন পর দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক বাইক আরোহীর।
রাত পৌনে এগারোটা নাগাদ হাওড়া থেকে এক্সাইডের দিকে আসছিল লরিটি। দ্রুত গতিতে আসার সময় পিছন থেকে ধাক্কা মারলে ছিটকে পড়েন বাইক আরোহী।
দুর্ঘটনার তীব্রতায় টুকরো টুকরো হয়ে যায় তাঁর হেলমেট। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।