সন্দীপ সরকার, কলকাতা : জলের তলায় চলে গিয়েছে মেডিক্যাল স্টোর রুম। কার্যত হাঁটুজলে ভাসছে মেডিক্যাল স্টোর রুম। জীবনদায়ী একাধিক ওষুধ ভাসছে সেই জলে। অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে করোনাকালের অতি প্রয়োজনীয় স্যানিটাইজার, সবই ভাসছে জলে। লিফটের টানেলের সামনে জলের পরিমাণ কার্যত এক কোমর। আর স্টোর রুমের কাছে গামবুট পরে জীবনদায়ী ওষুধগুলো জল থেকে তুলে উদ্ধার করার মরিয়া চেষ্টায় ব্যস্ত কর্মীরা। অনেককেই আবার দেখা গেল কার্যত হাঁটুজলের কাছাকাছি জায়গাতেই চেয়ারে যা হোক করে জবু-থবু হয়ে বসে কম্পিউটারে করে চলেছেন কাজ! এই চিত্র খাস কলকাতার। কলকাতার বুকে অন্যতম পরিচিত স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ছবিটা ছিল এরকমই। আর গোটা পরিস্থিতির জেরে কার্যত অনেক জীবনদায়ী ওষুধ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা।
অতিবৃষ্টির জেরে ভোররাত থেকেই স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে বাড়তে শুরু করে জল। সকাল হতে হতেই গোটা হাসপাতাল চত্বর কার্যত জল থই থই চেহারা নেয়। তারপরও আকাশভাঙা বৃষ্টি না থামায় বাড়তে থাকতে জল আশঙ্কা সত্যি করে ক্রমশ ঢুকে পড়ে জীবনদায়ী ওষুধ রাখার স্টোর রুমেও।
এমনিতে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। তার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গ সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখা। যার জেরে গতকাল রাত থেকেই ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির কবলে পড়ে কার্যত বানভাসি কলকাতা। গতকাল রাতে কয়েকঘণ্টা আবার গঙ্গার লকগেট বন্ধ থাকায় জলমগ্ন গোটা শহর। অনেক জায়গাতেই জল জমে ভোগান্তির একশেষ শহরবাসী থেকে শহরে আগত সবার। এমনিতেই রাজ্যে করোনার প্রকোপ কমার জেরে ক্রমশ ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছিল সবকিছু, কিন্তু প্রবল অতিবৃষ্টিতে যেন সবকিছুতেই প্রবলভাবে ছন্দপতন। আর এই অবস্থায় জলমগ্ন শহরের একাধিক নামী হাসপাতাল চত্বরও।
আরও পড়ুন-কলকাতায় আগামী কয়েক ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, জারি কমলা সতর্কতা
আরও পড়ুন: রাতভর তুমুল বৃষ্টিতে জল থৈ থৈ শহর, উত্তর থেকে দক্ষিণের অনেকাংশ জলের তলায়
আরও পড়ুন: রাতভর প্রবল বর্ষণ, হাঁটুজল দাশনগর, সালকিয়া, রামরাজাতলায়, ভাসছে নিচু এলাকা