অনির্বাণ বিশ্বাস, আবীর দত্ত ও প্রকাশ সিনহা, কলকাতা:  ইউনিয়নের (Union) দখল (Capture) নিয়ে আলিপুর চিড়িয়াখানায় (Alipur Zoo) উত্তেজনা।  আরএসএস (RSS)-এর  শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘের থেকে ইউনিয়নের দখল নিল তৃণমূল (TMC)। যা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।


ঘটনা ঘিরে আলিপুর চিড়িয়াখানায় তুলকালাম বেঁধে যায় । RSS’র শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ বা BMS’র থেকে ইউনিয়নের দখল নিল তৃণমূল।ইউনিয়নের দখলকে কেন্দ্র করে, সোমবার সকালে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় আলিপুর চিড়িয়াখানায়।এদিন সকালে, বন্ধ আলিপুর চিড়িয়াখানার গেটে জড়ো হন তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। দেওয়া হয় স্লোগান।


এরপরই, পুলিশের সামনেই চিড়িয়াখানার গেট টপকে ভিতরে ঢোকেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। গেট ভেঙে হুড়মুড়িয়ে বন্ধ চিড়িয়াখানার ভিতরে ঢুকে পড়েন তাঁরা।ধাক্কাধাক্কিতে মাটিতে পড়ে যান পুলিশ কর্মীরা।কয়েকজনের চোটও লাগে।খুলে ফেলা হয় বিজেপির পতাকা।লাগিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূলের পতাকা।


INTTUC নেতা রাজেশ সাউয়ের অভিযোগ, রাকেশ সিংহ অনেকদিন ধরে অত্যাচার করছিলেন। গরিবের উপর অত্যাচার করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে, ববি হাকিমের নেতৃত্বে।


এতদিন, আলিপুর চিড়িয়াখানার কর্মী ইউনিয়নের দখল ছিল, বিজেপি নেতা রাকেশ সিংহর হাতে। এদিন ইউনিয়নের দখল নিলেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা রাজেশ সাউ।এর প্রতিবাদে আলিপুর চিড়িয়াখানার পাশে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। রাকেশ সিংহ বলেছেন, (গেটটা ভেঙে যেভাবে ডিরেক্টরকে অপমান করা হল, তা লজ্জাজনক। আমাদের লোককে মারা হল। এই ঘটনা চিড়িয়াখানার জন্য লজ্জা। কালকে পুলিশকে আগাম জানানো  হয়েছিল।  কিন্তু তারপরও অতিমারীর মধ্যে এত লোক কোথা থেকে জড়ো করা হল? ওয়ার্ডগঞ্জ থানার বিরুদ্ধে কেস হোক। ওরা তৃণমূলকে সাহায্য করছে, ওসি সাহায্য করছেন।


এই ঘটনা ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে। জয়হিন্দ বাহিনীর আহ্বায়ক কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, এখানে বেশ কিছু দিন ধরে রাকেশ সিংহ অত্যাচার করছিলেন। কয়েকজন কর্মী আমাদের কাছে আসেন। এখানে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনে ছিল না। আজ প্রতিষ্ঠা পেল।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন,  অনভিপ্রেত ঘটনা, সর্ববৃহৎ শ্রমিক সংগঠন বিএমএস। দেশের কোথাও কোনও গন্ডগোল হয় না। তৃণমূলের লোকেরা আক্রমণ করেছে।


আলিপুর চিড়িয়াখানার উল্টোদিকে, আরএসএস-এর শ্রমিক সংগঠনের পার্টি অফিসেরও দখল নেন তৃণমূল কর্মীরা। সেখানেও তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হয়। ইউনিয়নের বোর্ডটি সাদা রং করে দেওয়া হয়।