ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: এনআরএস হাসপাতালের রাত্রিনিবাসের পাশেই মিলল চন্দ্রবোড়া। রেডিওথেরাপি বিভাগের কাছে আজ সকালে সাপ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায়।
হাসপাতালের মালিদের দাবি, বাগানে কাজ করার সময় আওয়াজ পেয়ে তাঁরা দেখেন, পিছনেই চন্দ্রবোড়া। গামবুট পরে থাকায় তাঁরা প্রাণে বেঁচে যান।
সরকারি হাসপাতালে প্রতিদিন বহু মানুষ আসেন। অনেকেই রাত কাটান রাত্রিনিবাস অথবা হাসপাতাল চত্বরে। এভাবে সাপ বেরোনোয় তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। খবর দেওয়া হয়েছে বন দফতরে।
এর আগে গত ২৫ জুন এন আর এস মেডিক্যাল কলেজের মেডিক্যাল স্টোরে বিষাক্ত চন্দ্রবোড়া সাপ পাওয়া যায়। আতঙ্ক ছড়ায় সেখানকার কর্মীদের মধ্যে। কর্মীরাই নিজেদের উদ্যোগে বোতলবন্দি করে ওই সরীসৃপকে। অবশেষে বন দপ্তরের কর্মীরা এসে সেই বোতলবন্দি সাপ নিয়ে গেলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়।
সূত্রের খবর, তার সপ্তাহ দেড়েক আগেও রোগীদের রাত্রিনিবাসের কাছে ক্যান্টিনে এইরকম চন্দ্রবোড়া সাপের 'উপদ্রব' কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছিল। অভিযোগ, গাছের তলায় আশ্রয় নেওয়া রোগীর পরিজনদের গায়ে গাছ থেকে চন্দ্রবোড়া সাপ ছিটকে পড়েছিল। তখন আতঙ্কিত রোগীর পরিজনরা লাঠির আঘাতে ওই সরীসৃপ মেরে ফেলেন। তখনও রোগীর পরিজনদের মধ্যে প্রবল আতঙ্ক ছড়ায়। কর্তৃপক্ষের দাবি, ঘটনার পর পুরো ক্যাম্পাস এবং বিশেষভাবে রাত্রিনিবাসের আশপাশে সাফাই-ব্লিচিং-কার্বলিক অ্যসিড ছড়ানো হয়।
শুধু সাপই নয়, বিভিন্ন ঘটনায় এনআরএস-এর অব্যবস্থার ছবি সামনে এসেছে। শিশুর মাথা থেকে ঝুলছে রক্ত বের হওয়ার নল। লাগানো ক্যাথিটার। সেই অবস্থায় কোলে করে শিশুকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সিটিস্ক্যান করাতে। এই ছবি দেখা গিয়েছে এনআরএস-এ।
পরিবার সূত্রে খবর, বসিরহাটের বাসিন্দা ৩ বছরের ওই শিশু খাট থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পায়। ভর্তি করা হয় এনআরএসের ফিমেল সার্জারি ওয়ার্ডে। শুক্রবার শিশুর ব্রেন সার্জারি হয়। পরিবারের অভিযোগ, এর ২ দিন পরেই সিটি স্ক্যান করাতে নিয়ে যাওয়ার সময় একটি চাকা ভাঙা ট্রলি জোটে। অগত্যা কোলে নিয়েই ছুটোছুটি। সিটি স্ক্যান করাতে গিয়েও ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় বলে অভিযোগ।