কলকাতা : উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরির ঘটনায় এবার রাজনৈতিক আঁচ এরাজ্যে। লখিমপুরের ঘটনায় ওঁর উদ্বেগের দরকার নেই , আজ এই ভাষাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। লখিমপুরের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক বলে তীব্র নিন্দা করেছেন মমতা।


এপ্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী(উত্তরপ্রদেশের) ওই এলাকার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রাথমিকভাবে ১৪৪ ধারা জারি করে তার ব্যবস্থা নিয়েছেন। পুরো বিষয়টাকে অত্যন্ত মানবিকভাবে, সহানুভূতির সঙ্গে দেখেছেন। এর জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানাব। এর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বিগ হওয়ার-শোকপ্রকাশ করার কোনও গুরুত্ব নেই। তার কারণ, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যখন ভবানীপুরের উপনির্বাচনের জন্য লাগাতার ১৫ দিন প্রচার করেছেন, সেই সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ১৪ জন মারা গেছেন। সেই ১৪ জন বাংলার নাগরিক যে বিদ্যুৎ দফতর বা বাংলার প্রশাসনের উদাসনীতার জন্য মারা গেলেন, সে বিষয়ে তাঁকে দুঃখপ্রকাশ করতে দেখিনি। তাঁকে দেখিনি ট্যুইট করতে বা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করতে। অর্থাৎ, এই মুখ্যমন্ত্রী কী বললেন বা না বললেন তার সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের কোনও বিষয়ের প্রভাব বা প্রতিক্রিয়া পড়েনি।


উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে আন্দোলনরত কৃষক সহ ৮ জনকে গাড়িতে পিষে ও গুলি চালিয়ে খুনের অভিযোগে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। বিক্ষোভরত কৃষকরা এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল তুলেছে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে আশিসের বিরুদ্ধে! অভিযোগ, মন্ত্রীপুত্রের  দলবলই কৃষকদের ওপর গাড়ি চালিয়ে হামলা করেছে। 


এই ঘটনার কড়া নিন্দা করে আগেই ট্যুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, লখিমপুর খেরিতে বর্বর ঘটনার কড়া নিন্দা করছি। কৃষক ভাইদের প্রতি বিজেপির বিরূপ মনোভাবে আমি ব্যথিত। ... কৃষকদের প্রতি সব সময় নিঃশর্ত সমর্থন থাকবে। আজ আরও একবার এপ্রসঙ্গে সুর চড়ান মমতা। তিনি বলেন, লখিমপুরের ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। নৃশংসভাবে মারল, পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দিল না। গুলি করে মারল, গাড়ি দিয়ে পিষে মারল। প্রতিনিধি দলকে আটকানো হয়েছে।