আবীর দত্ত, কলকাতা: লক্ষ্মীপুজোর আগেই আমজনতার দুর্ভোগ বাড়িয়ে উৎসবের মরসুমে সবজির বাজার আগুন।
পেট্রোপণ্যের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি আর নাছোড় বৃষ্টি, খাদ্যপণ্যের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার জন্য মূলত এই দুটি কারণকেই দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। বাজারে গিয়ে কার্যত ছ্যাঁকা খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
সামনেই লক্ষ্মীপুজো। কালীপুজোর এখনও দিন সতেরো দেরি আছে। অথচ অনেক আগে থাকতেই মূল্যবৃদ্ধির হাউইবাজি উড়ছে আকাশে।
পেট্রোল-ডিজেল থেকে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার, ভোজ্য তেল---দামের নিরিখে কে কত উঁচুতে উঠতে পারে, প্রতিদিন যেন তারই প্রতিযোগিতা চলছে।
এই পরিস্থিতিতে উত্সবের মরসুমে বাজার করতে গিয়ে ছ্যাঁকা খাওয়ার জোগাড় ভোজনপ্রিয় বাঙালির। পেট্রোপণ্যের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি আর দফায় দফায় বৃষ্টির জেরে কার্যত হাত দেওয়া যাচ্ছে না কোনও সবজিতে।
আরও পড়ুন: কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় কোন কোন কাজ একেবারেই করবেন না ?
ভবানীপুরে যদুবাবুর বাজারে গিয়ে দেখা গেল, ইতিমধ্যেই হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফেলেছে পেঁয়াজ, পুজোর আগেও যেটা ছিল ৩৪ থেকে ৩৭ টাকা কেজি।
৬০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে পটলের দাম। টোমেটো ৮০ টাকা কেজি। বেগুন আরও মহার্ঘ - ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। ক্যাপসিকাম ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি।
কোনও রান্নায় স্বাদ বাড়াতে ধনেপাতার জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু চলতি বাজারে সেটাও ৩০০ টাকা কেজি। সজনে ডাঁটা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে।
বিনস ১৫০ টাকা কেজি। পালং শাক ১০০ টাকা কেজি। একটু ভাল ফুলকপি নিতে হলে এক পিসের জন্য গুনতে হবে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।
করলা, কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। কচু ৫০ টাকা কেজি। কুঁদরি ৬০ টাকা কেজি। স্বাভাবিক ভাবেই পকেটে আরও টান পড়ছে সাধারণ মানুষের।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে বাড়িতে সহজেই বানিয়ে ফেলুন তিলের নাড়ু, রইল রেসিপি
করোনাকালে কাজ গেছে লক্ষ লক্ষ মানুষের। রোজগার যে কত লোকের কমে গিয়েছে, তার হিসেব নেই। কিন্তু এতকিছু সত্ত্বেও মূল্যবৃদ্ধির মার চলছেই।