কলকাতা : আগামী সপ্তাহেই লক্ষ্মীপুজো। সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধির দেবী শ্রীলক্ষ্মী। শ্রীবিষ্ণুর স্ত্রী। তাঁকে ঘরে বেঁধে রাখতে  কোজাগরী পূর্ণিমা তিথিতে বন্দনা করে বঙ্গবাসী। সারা দেশে দীপাবলির বিকেলে দীপান্বিতা লক্ষ্মীর পুজো বেশি প্রচলিত হলেও বাংলার ঘরে ঘরে কোজাগরী লক্ষ্মীর পুজো হয়। কোথাও ঘটে, কোথাও পটে, কোথাও আবার মূর্তি এনে পুজো হয়। তবে পুজো যেভাবেই হোক না কেন, লক্ষ্মীপুজোয় এই ভুলগুলি কোনওমতেই করা যাবে না।



  •  লক্ষ্মী দেবীকে কোনও ভাবে সাদা রঙের ফুল দিয়ে পুজো করা যাবে না। সাদা রঙ ছাড়া লাল, হলুদ, গোলাপি রঙের ফুল ব্যবহার করা যাবে।

  • মনে করা হয়, শ্রীলক্ষ্মীর পূজনে অসন্তুষ্ট হন শ্রীলক্ষ্মী। কথিত আছে, তুলসির সঙ্গে শালগ্রাম শিলার বিবাহ হয়। শালগ্রাম গ্রাম শিলা নারায়ণের প্রতিভূ। যেহেতু শ্রীলক্ষ্মীও বিষ্ণুপত্নী, তাই এই পুজোয় তুলসির ব্যবহার চলে না।

  • মা লক্ষ্মীর পুজোয় সাদা ফুল যেমন  ব্যবহার করা যায় না, তেমনই আসনে সাদা বা কালো কাপড় পাতার নিয়ম নেই। ব্যবহার করা যেতে পারে লাল, গোলাপি প্রভৃতি রঙের কাপড়। বিশ্বাস, মা লক্ষ্মী এতে অত্যন্ত সন্তুষ্ট হন।

  • লক্ষ্মী পুজোয় তোলা চাল থেকে অন্য কাউকে চাল দিতে নেই।

  • পুজোর পর মন্দির বা ঠাকুর ঘরের দক্ষিণমুখে প্রসাদ অর্পণ করার কথা বলে থাকেন অনেকে।  লক্ষ্মীপুজোর প্রসাদে না বলতে নেই। অল্প হলেও মুখে তুলতে হয়। 

  • ঢাক - ঢোল- কাঁসর ঘণ্টা লক্ষ্মীপুজোয় বাজানো যাবে না। অত্যধিক শব্দ পছন্দ করেন না শ্রীলক্ষ্মী।  সব পুজোতেই বাদ্যি বাজানো হয়। কিন্তু মা লক্ষ্মীর পুজোয় কাঁসর ঘণ্টা বাজালে দেবীর অসন্তুষ্ট হন বলে মনে করা হয়।

  • লক্ষ্মীপুজো করার সময় কোনওভাবেই কালো পোশাক পরা যাবে না। 


মনে করা হয়, কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো যে বাড়িতে করা হয় সেই গৃহে মা লক্ষ্মী স্থির থাকেন।  গৃহে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি বজায় থাকে। কোজাগরীলক্ষ্মী দেবীর পুজো করলে ধনসম্পত্তি অক্ষয় হয়।