অতনু হালদার ও ঝিলম করঞ্জাই:  এসএসকেএম থেকে সন্ধেতেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি। সন্ধে ৬টা নাগাদ এসএসকেএম থেকে ছাড়া পেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। 


সূত্রের খবর, আজ চিকিৎসকদের কাছে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন মমতা। চিকিৎসকরাও জানান, বাড়ি ফেরার মতো অবস্থায় এসে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। 


চিকিৎসকদের মতে, বাড়িতে রেখেও ২-৩ দিন তাঁর চিকিত্সা করা যায়। বাড়িতে কীভাবে থাকতে হবে মমতাকে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। 


হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্লাস্টার কেটে দেখা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে ফোলা কমেছে। আজ নতুন করে মমতার পায়ে প্লাস্টার করা হয়। 


 



 


কিছুদিন মুখ্যমন্ত্রীকে হুইল চেয়ার ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ ধরনের চটি পরে হুইলচেয়ার ব্যবহার করা যাবে। 


হাসপাতাল সূত্রে খবর, চটি পরে হুইলচেয়ারে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করলে বাড়ি ফিরবেন মমতা। 


প্রাথমিকভাবে নতুন চটি, হুইলচেয়ারে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন মুখ্যমন্ত্রী বলে জানা গিয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘আমি চটি পরি, আমি চটিই পরব।’


মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি শুরু। বাড়িতে মমতার চিকিৎসার পরিকাঠামো তৈরি নিয়ে আলোচনা চলছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সিদ্ধান্ত। 


গত ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে মনোনয়ন পেশ করার পর পড়ে গিয়ে পায়ে-কোমরে চোট পান মমতা। নন্দীগ্রাম থেকে কলকাতায় ফিরে আসেন তিনি।


রানিচকের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে ফেরার সময় তাঁকে ৪-৫ জন ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।


তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা বলে মন্তব্য করেছে বিরোধীরা। 


পায়ে-কোমরে চোট পাওয়ার পর গ্রিন করিডর করে মমতাকে কলকাতায় ফেরানো হয়। নিয়ে যাওয়া হবে এসএসকেএমে। মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসায় পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়।


ওই বোর্ডে ছিলেন সার্জারি, অর্থোপেডিক, এন্ডোক্রিনোলজিস্ট, মেডিসিন ও কার্ডিওলজি বিভাগীয় প্রধানরা।