কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা : একশো আটটি পুরসভার ভোট ঘিরে রবিবার উত্তপ্ত পরিস্থিতির সাক্ষী বাংলার মানুষ। কোথাও বিরোধী প্রার্থী মার খান, কোথাও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ওঠে। খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হন এবিপি আনন্দ-সহ তিনটি সংবাদমাধ্যমের ন’জন প্রতিনিধি। রবিবার ভোটগ্রহণ (municipal election) হয়েছে রাজ্যের ১০ হাজার ৮১৩টি বুথে। সন্ত্রাসের অভিযোগ জমা পড়েছে ১ হাজার ৪০০টি ! আর সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন পুর্ননির্বাচন ঘোষণা করেছে ২টি বুথে!

রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) কটাক্ষ, ' মুখ্যমন্ত্রী হয়ত লিখে দিয়েছিলেন ২ বুথেই ভোট হবে। কমিশন সেই মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২টো তেই ভোট হওয়ার কী দরকার?' খোঁচা দিতে ছাড়েননি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। তিনি বলেন, ' কমিশনকে কেউ মানে না। হাস্যকর হয়ে গেছে, কমিশন মানে নবান্ন আর নবান্ন মানে কমিশন। কোনও দূরত্ব নেই। যমজ ভাই। নবান্ন প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিলে ভাল হত' 


রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সূত্রে খবর, মঙ্গলবার  হুগলির শ্রীরামপুর পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৭ নম্বর বুথ এবং উত্তর চব্বিশ পরগনার দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৪ নম্বর বুথে পুর্নির্বাচন হবে।রবিবারের ভোটে বিরোদীরা সন্ত্রাস ও ভোট লুঠের অভিযোগ তোলার পর, সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। এদিন দুপুরে রাজভবনে যান সৌরভ দাস। ভিডিও-সহ এই নিয়ে ট্যুইটও করেন রাজ্যপাল।


রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে রাজ্যপাল জানতে চান,  ভোট ঘিরে কেন এত অশান্তি হয়েছে? কেন ভোট দিতে পারলেন না সাধারণ মানুষ? কেন প্রার্থীরা আক্রান্ত হলেন? কীভাবে এত ইভিএম ভাঙচুর হল? সূত্রের খবর, এরপরই পুনর্নির্বাচনের আর্জি জানান রাজ্যপাল। জবাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, জেলাশাসকদের রিপোর্টের ভিত্তিতে বিষয়টি নিয়ে তিনি বলতে পারবেন। এদিকে কাঁথি পুরসভায় পুনর্নির্বাচনের দাবিতে, বিজেপির মামলা গ্রহণ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুনানি হবে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে।