কলকাতা:  গতকাল রাতে এসএসকেএম হাসপাতালে শুধু চা-বিস্কুট খেয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। আজ সকালে প্রাতঃরাশও করেননি। এমনটাই জানালেন প্রাক্তন মেয়রের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। 


এদিন বৈশাখী বলেন, গতকাল নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে থাকার সময় তিনি কিছু খাননি। তাই নিতে পারেননি ইনস্যুলিনও।  


বৈশাখী জানান, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সিওপিডি-র সমস্যা আছে। জেলে অসুস্থ হয়ে পড়ায় শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ভোররাতে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। শ্বাসকষ্টের কারণে তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া হয়।  


একইভাবে, জেলে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ব্লকে ভর্তি করা হয় তণমূল বিধায়ক মদন মিত্রকেও।  অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় তাঁকে অক্সিজেন দিতে হয়।


শোভন চট্টোপাধ্যায় ভর্তি রয়েছেন উডবার্ন ওয়ার্ডের ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডে। মদন মিত্র রয়েছেন এসএসকেএমের উডবার্ন ব্লকের ১০৩ নম্বর কেবিনে। 


নারদকাণ্ডে গতকালই জামিনে কলকাতা হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দেওয়া নিজাম প্যালেস থেকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয় শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের তিন নেতা-মন্ত্রী  ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্য়ায় ও মদবন মিত্রকে। গতকাল সকালে চারজনকে গ্রেফতার করে সিবিআই।  


প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম।  রাতে একবার অসুস্থতা বোধ করায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।  তারপর আবার জেলে ফিরিয়ে আনা হয়।  জেল সূত্রে খবর, সুব্রত এবং ফিরহাদের অসুস্থতার কারণে তাঁদের পরীক্ষা করেন জেলের চিকিত্‍সকরা।


আজ সকালে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে শারীরিক পরীক্ষার জন্য  এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।  সূত্রের খবর, বেলায় পরীক্ষার জন্য় আনা হতে পারে ফিরহাদ হাকিমকেও। 


গতকাল সকালে গ্রেফতার করা হয় সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে।  সন্ধেয় সিবিআই আদালত তাঁদের জামিন দেয়।  


রাতে কলকাতা হাইকোর্ট জামিনে স্থগিতাদেশ জারি করে।  এরপর চারজনকেই নিয়ে যাওয়া হয় প্রেসিডেন্সি জেলে। বুধবার এই মামলার ফের শুনানি। প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়ার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন ফিরহাদ হাকিম।