কলকাতা: অসুস্থ মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি দু’জন।


গতকাল হাইকোর্ট তাঁদের জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার পর সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়, এই চারজনকেই প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। 


সেখানে অসুস্থ বোধ করায় ভোররাতে, পৌনে চারটের সময় মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। কিন্তু সুব্রত মুখোপাধ্যায় কোনও পরীক্ষা না করিয়ে জেলে ফিরে যান।  


মদন মিত্রের অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় তাঁকে অক্সিজেন দিতে হয়।  শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও শ্বাসকষ্টের কারণে অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হয়েছে বলে এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রে খবর। 


মদন মিত্র রয়েছেন এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডের ১০৩ নম্বর কেবিনে। শোভন চট্টোপাধ্যায় ১০৬ নম্বর কেবিনে রয়েছেন।  


সোমবার সাত সকালে, বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে গিয়ে রাজ্যের দুই মন্ত্রী, এক প্রাক্তন মন্ত্রী ও এক বিধায়ককে গ্রেফতার করে সিবিআই। 


দিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই অতর্কিতে রাজ্যের দুই মন্ত্রী, এক প্রাক্তন মন্ত্রী ও এক বিধায়কের বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী।  তাঁদের গাড়িতে তোলে সিবিআই।  তারপর নিজাম প্যালেসে নিয়ে গিয়ে, আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতার করা হয়।


প্রতিবাদে সরাসরি নিজাম প্যালেসে পৌঁছে যান খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন সিবিআইকে। বলেন, আমাকেও গ্রেফতার করো। প্রায় ৬ ঘণ্টা ঠায় বসে থাকেন সিবিআই অফিসে। 


এতকিছুর পর, সন্ধেয় বিশেষ সিবিআই আদালতে ভার্চুয়াল শুনানিতে, জামিন মঞ্জুর হয় চার নেতারই। এরপর সন্ধেয় ৪ নেতাকেই জামিন দেয় বিশেষ সিবিআই আদালত। 


নিম্ন আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাতেই হাইকোর্টে যায় সিবিআই। নিম্ন আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। 


ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ, সিবিআই আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়ে জানায়, ধৃত ৪ নেতাকে বুধবার অবধি জেল হেফাজতে থাকতে হবে। সেদিনই পরবর্তী শুনানি।


তৃণমূল কি বুধবার অবধি অপেক্ষা করবে, নাকি তার আগেই হাইকোর্টে পাল্টা আবেদন জানাবে, সেটাই এখন দেখার।