কলকাতা: উত্তরবঙ্গের বিপর্যয় নিয়ে মুখ্য়মন্ত্রীকে চিঠি দিলেন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদে। ওই চিঠিতে এই বিপর্যয়কে 'রাজ্য় বিপর্যয়' ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন রাজু বিস্ত। তিনি লিখেছেন, দার্জিলিং ও কালিম্পঙে যা যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার বিস্তারিত বিবরণ কেন্দ্রকে জানাক রাজ্য় সরকার। তার ভিত্তিতে কেন্দ্রের কাছে সাহায্য় চাওয়া হবে। আজই দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন অমিত শাহ

Continues below advertisement

আরও পড়ুন, উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ বিপর্যয়, নিখোঁজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া !

Continues below advertisement

বিরোধী দলনেতা   শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আরে কেন্দ্র সরকারই তো করছে সকাল থেকে। NDRF  না থাকলে কে বাঁচাত? ওখানে যা ভৌগলিক অবস্থা, সবাই ঢুকতে পারবে না সব জায়গায়। NDRF-ই তো লোককে বাঁচাচ্ছে। উত্তরবঙ্গে বিপর্যয়ে প্রাণহানীর ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে সোশাল মিডিয়ায় বাংলায় পোস্ট করেছে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও। প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে দলীয় কর্মীদের অনুরোধ করেছেন তিনি। উত্তরবঙ্গের বিপর্যয় নিয়ে মুখ্য়মন্ত্রীকে চিঠি দিলেন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদে। ওই চিঠিতে এই বিপর্যয়কে 'রাজ্য় বিপর্যয়' ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন রাজু বিস্ত। তিনি লিখেছেন, দার্জিলিং ও কালিম্পঙে যা যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার বিস্তারিত বিবরণ কেন্দ্রকে জানাক রাজ্য় সরকার। তার ভিত্তিতে কেন্দ্রের কাছে সাহায্য় চাওয়া হবে। আজই দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন অমিত শাহ

গত কয়েকদিন দিন ধরে টানা বৃষ্টি হয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার-সহ উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলায়। তার জেরে ভুটান পাহাড় বেয়ে জল নামতে শুরু করে নীচের দিকে। সেই জল নামায় ফুলেফেঁপে ওঠে তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকার মতো পাহাড়ি নদী গুলি।জলের তোড়ে ভেঙে যায় দার্জিলিঙের মিরিক ব্লকের দুধিয়া সেতু। কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় শিলিগুড়ি ও মিরিকের রাস্তা।উত্তরবঙ্গের বিপর্যয় নিয়ে, এক্স হ্যান্ডলে শোক প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বাংলায় লিখেছেন, ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত দার্জিলিং এবং আশপাশের এলাকার পরিস্থিতির উপর প্রশাসন গভীরভাবে নজরদারি চালাচ্ছে। শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোর প্রতি আমার গভীর সমবেদনা রইল। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।  এদিকে সোমবার উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে তিনি সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, শনিবার রাতের কয়েক ঘণ্টার প্রবল বৃষ্টি এবং বাইরে থেকে নদীর অতিরিক্ত জলের প্রবাহের কারণে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হওয়ায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।তিনি আরও লিখেছেন, প্রবল বৃষ্টিপাত এবং নদীর বন্যা পরিস্থিতিতে আমরা কয়েকজন ভাইবোনকে হারিয়েছি। আমি মর্মাহত এবং দুঃখিত। আমি মৃতদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই এবং অবিলম্বে পরিবারগুলিকে সমস্তরকম সাহায্য পাঠাব।