কলকাতা : ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন। প্রচারের পারদ তুঙ্গে। সোমবারই মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। একদিকে লড়াইয়ের চাপ, অন্যদিকে নিজের দলের প্রত্যাশা। এই সব কিছুর মধ্যেই বরাবর আত্মবিশ্বাসী শুনিয়েছে বিজেপির আইনজীবী প্রার্থীকে। কিন্তু তিরিশের মহারণের আগেই ব্যক্তিগত জীবনে বড় ধাক্কা খেলেন প্রিয়ঙ্কা। হারালেন নিজের ভাইকে।  মঙ্গলবার সকালে নিজেই জানালেন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে। জানিয়েছেন, 'একমাত্র ছোট ভাইকে হারালাম । হঠাতই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যু হল তাঁর। তোমার আত্মা শান্তি পাক।'





সোমবারই মহা সমারোহে পুজো দিয়ে নিজের মনোনয়ন পত্র জমা দেন প্রিয়ঙ্কা। ভবানীপুর উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। তার আগে মন্দিরে পুজো দেন বিজেপি প্রার্থী। ঢাক বাজিয়ে, ধুনুচি নিয়ে শুরু হয় মহিলাদের নাচ। ধুনুচি নাচে অংশ নেন প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালও। মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগেই সার্ভে বিল্ডিংয়ে পৌঁছন দীনেশ ত্রিবেদী। প্রিয়ঙ্কাকে নিয়ে সেখানে পৌঁছন শুভেন্দু অধিকারী ও রুদ্রনীল ঘোষ। সার্ভে বিল্ডিংয়ে যান অর্জুন সিং-ও।


প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের ইলেকশন এজেন্ট বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। ভবানীপুরে প্রচার চালাচ্ছেন রাজ্যের নেতারাই। বিধানসভা ভোটের নিরিখে ভবানীপুরের অন্তর্গত ৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৬টিতে পিছিয়ে ছিল বিজেপি। সেই ওয়ার্ডগুলিতে প্রচারে জোর দেওয়া হচ্ছে। বুথ পিছু দু’জন করে এজেন্ট ঠিক করা হয়েছে।  আইনজীবী বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল জানান, ' মানবিকতা রক্ষার লড়াই আমার এবার, পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে বাঁচানোর জন্য এই লড়াই'। শনিবার কালীঘাটে পুজো দিয়ে শুরু হয় তাঁর প্রচার। শুভেন্দু অধিকারীর দাবি,  ' মমতা যে ভবানীপুরে জিতবেন, তার নিশ্চয়তা নেই, উনি হারবেন, কানের পাশে বাজবে শুভেন্দুর কাছে হেরেছেন, শুভেন্দুর কাছে হেরেছেন, ওনাকে কে বলেছিল, ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রামে আসতে।' 


হাতে মাত্র আড়াই সপ্তাহ। প্রচারে খামতি রাখতে চাইছে না কোনও দল। গত সপ্তাহে মনোনয়ন দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার মনোনয়ন জমা দিলেন বিজেপি ও বাম প্রার্থী।  আলিপুর সার্ভে বিল্ডিংয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন ভবানীপুর উপনির্বাচনের বাম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাসও। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বাম কর্মী সমর্থকরা। নির্বাচনর আগে এই পরিস্থিতিতে প্রিয়ঙ্কার জীবনে এই ধাক্কা নিঃসন্দেহে শোকের। অনেকেই তাঁকে ফেসবুকে শোকবার্তা জানিয়েছেন।