ঋত্বিক প্রধান, কাঁথি: যানজটে গাড়ি আটকে পড়ায় সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে লক্ষ্য করে কটূক্তির অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এর জেরে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে ব্যাপক উত্তেজনা। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। ভিড় হঠাতে দিব্যেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তারক্ষীরা লাঠিচার্জ করেন বলে পাল্টা অভিযোগ তৃণমূলের।


দিব্যেন্দু অধিকারীর দাবি, গতকাল রাতে ফেরার পথে, বাড়ির সামনে জটলা দেখে দাঁড়িয়ে যায় গাড়ি। সেইসময় ভিড়ের মধ্যে থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে কটূক্তি করে যুব তৃণমূল ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কয়েকজন নেতা। এরপরই উত্তেজনা ছড়ায়। বচসায় জড়িয়ে পড়েন সাংসদ নিজে। ঠেলাঠেলি শুরু হতেই সিআরপিএফ জওয়ানরা লাঠিচার্জ করেন। লাঠিচার্জে আহত হন তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী, কলেজ পড়ুয়া। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। কোনও পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। এ বিষয়ে মেলেনি তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া।


স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল রাতে সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর গাড়ি যখন কাঁথি শহরের সাধু জানা পুকুরপাড়ের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল, সেই সময় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কয়েকজন সদস্য সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ সাংসদ নিজে যানজটে আটকে পড়ে কলেজ ছাত্রদের লক্ষ্য করে কটূক্তি করেন। এরপরেই উত্তেজনা ছড়ায়। সাংসদের গাড়ি ঘিরে শুরু হয়ে যায় পাল্টা বিক্ষোভ। বেঁধে যায় হই-হট্টগোল, গন্ডগোল, বচসা। খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন কাঁথি শহর যুব তৃণমূলের সভাপতি সুরজিৎ নায়েক, তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ মাইতি এবং কলেজ ইউনিটের নেতারা। ঠেলাঠেলি শুরু হতেই সিআরপিএফ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। 


সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী নিজে ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে অস্বীকার করলেও, তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল থেকে দাবি করা হয়েছে, তৃণমূল নেতা-কর্মীরা তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে কটূক্তি করছিলেন। তাঁকে হেনস্থারও চেষ্টা করা হয়। 


অন্যদিকে, প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিজেপির কর্মসূচি ঘিরে কাঁথিতে উত্তেজনা। ফ্লেক্স, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার শাসক দলের।