কলকাতা; আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ধুন্ধুমার। গ্রুপ ডি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে পথ অবরোধ করেন গ্রুপ ডি কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, বিক্ষোভরত কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বেশ কয়েকজন আহত হন। যদিও পুলিশের বক্তব্য, ধাক্কাধাক্কিতে জখম হয়েছেন তাঁরা। 


নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গ্রুপ ডি কর্মীদের অশান্তি। তার জেরে ধুন্ধুমার বাধল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগ, গ্রুপ ডি কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। মহিলা কর্মীদের ধাক্কা দেওযা হয বলেও অভিযোগ। অশান্তির সূত্রপাত, রবিবার বিকেলে। হাসপাতালের অস্থায়ী গ্রুপ ডি কর্মীদের অভিযোগ, তাঁদেরকে মারধর করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। প্রতিবাদে আরজি করের সামনে পথ অবরোধ করেন গ্রুপ ডি কর্মীরা।


পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। অভিযোগ, তখনই লাঠিচার্জে আহত হন বেশ কয়েক জন। শেষমেষ হাসপাতলের সুপারের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও অশান্তির ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা, বেসরকারি সংস্থা। কোনও মন্তব্য করতে চাননি নিরাপত্তা রক্ষীরা।  পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তেজনার মুহূর্তে ধাক্কাধাক্কির পরিস্থিতি তৈরি হয়। তার জেরেই সম্ভবত জখম হয়েছেন কয়েক জন। 


উল্লেখ্য কিছু দিন আগেই আরজিকর হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে গত ১১ অগাস্ট আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ শুরু হয়। অধ্যক্ষের সঙ্গে আলোচনার পরেও সমাধান সূত্র মেলেনি বলে দাবি করেন পড়ুয়ারা। যদিও এরপর তাঁদের কয়েকটি দাবি কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়েছে। গতকাল রাতে হাসপাতালে যান তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। কথা বলেন বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের সঙ্গে।


আলোচনার মাধ্যমেই রফাসূত্র মিলবে বলে আশাপ্রকাশ করেন সাংসদ। সূত্রের খবর, কয়েকদিন ধরেই চলছিল অশান্তি। সোমবার থেকে ফের উত্তাল হয় আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ। সুপার, ডেপুটি সুপার, অধ্যক্ষকে ঘেরাও করেন পড়ুয়ারা। হাসপাতালের দাবি কোন দাবিতে ঘেরাও? তা জানেই না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বারংবার ডাক্তারি পড়ুয়াদের লিখিতভাবে দাবি জানাতে বলা হলেও তাঁরা অনড় বলে অভিযোগ হাসপাতালের।