কলকাতা: ফের পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে অশান্ত আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ। প্রিন্সিপালের পদত্যাগ চেয়ে অবস্থান বিক্ষোভে ডাক্তারি ছাত্র-ছাত্রীরা। একাধিক দাবিতে প্রিন্সিপালের ঘরের সামনেই বিক্ষোভ-অবস্থানে বসেন ছাত্র-ছাত্রীরা।
এর আগেও দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়ে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে। গত ৮ সেপ্টেম্বর ছাত্র বিক্ষোভে ফের উত্তপ্ত হয় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ। সকাল থেকে শুরু হয় কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। অধ্যক্ষকে না পেয়ে এমএসভিপিকে ঘেরাও করেন পড়ুয়ারা। এদিন সকাল থেকে পড়ুয়াদের বিক্ষোভে অসুস্থ হয়ে পড়েন এমএসভিপি। অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে ডাক্তারি পড়ুয়াদের বিক্ষোভ শুরু হয় এ দিন। রাত ১০টার পরে লবিতে বসায় নিষেধাজ্ঞার অভিযোগেই বিক্ষোভ বলে সূত্রের খবর। যদিও এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত আর জি কর মেডিক্যালের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
এর আগে অগাস্টে মাসের মাঝামাঝি সময়ে একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে পড়ুয়াদের বিক্ষোভে নামেন পড়ুয়ারা। অধ্যক্ষের সঙ্গে আলোচনার পরেও সমাধান সূত্র মেলেনি বলে দাবি করেন পড়ুয়ারা। যদিও তাঁদের কয়েকটি দাবি কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। বিক্ষোভ চলাকালীন রাতে হাসপাতালে যান তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। কথা বলেন বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের সঙ্গে। আলোচনার মাধ্যমেই রফাসূত্র মিলবে বলে আশাপ্রকাশ করেন সাংসদ।
সূত্রের খবর, কয়েকদিন ধরেই চলছিল অশান্তি। সোমবার থেকে ফের উত্তাল হয় আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ। সুপার, ডেপুটি সুপার, অধ্যক্ষকে ঘেরাও করেন পড়ুয়ারা। হাসপাতালের দাবি কোন দাবিতে ঘেরাও? তা জানেই না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বারংবার ডাক্তারি পড়ুয়াদের লিখিতভাবে দাবি জানাতে বলা হলেও তাঁরা অনড় বলে অভিযোগ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গত ১৫ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ধুন্ধুমার বাঁধে। গ্রুপ ডি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে পথ অবরোধ করেন গ্রুপ ডি কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, বিক্ষোভরত কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বেশ কয়েকজন আহত হন। যদিও পুলিশের বক্তব্য, ধাক্কাধাক্কিতে জখম হয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের নামে ‘প্রতারণা’, ৬ মহিলার অ্যাকাউন্ট উধাও ৫০০০ টাকা
আরও পড়ুন: Jalpaiguri: জমি নিয়ে তৃণমূল - বিজেপি সংঘাত, জলপাইগুড়িতে জখম মহিলা সহ একাধিক গ্রামবাসী