কলকাতা: কয়লাকাণ্ডের তদন্তের প্রেক্ষিতে ইডি-কে চিঠি দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


দিল্লিতে ডেকে পাঠানোর পরিবর্তে কলকাতার বাড়িতে এসে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক বলে ইডির কাছে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করলেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে লেখা চিঠিতে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বলেন, ‘বাড়িতে ২টি সন্তান রয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে দিল্লি যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। তাই কলকাতার বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।’


চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘১৮ অগাস্ট নোটিস পাঠিয়ে আমাকে ১ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে সশরীরে হাজির হতে বলা হয়েছে। ইডি-র কলকাতায় অফিস রয়েছে, আমিও কলকাতায় থাকি। তাই আপনারা কলকাতায় আমার বাড়িতে এলে তা সুবিধাজনক হবে।’


রুজিরা আরও লেখেন, ‘যতদূর জানি, যে মামলায় তদন্তের জন্য আমাকে ডাকা হয়েছে, তারও সূত্রপাত পশ্চিমবঙ্গ থেকেই। এই অনুরোধ বিবেচনা করে দ্রুত জানান। আমি সবরকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’ 


প্রসঙ্গত, কয়লা পাচারকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজই দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পাশাপাশি, পর্যায়েক্রমে তলব করা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং একাধিক আইপিএস অফিসারকেও।


শুক্রবার ডাকা হয়েছে আইনজীবী সঞ্জয় বসুকে। আগামী সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। এরপর তিন আইপিএস অফিসারকে তলব করেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা-- ৮ সেপ্টেম্বর শ্যাম সিংহ, ৯ সেপ্টেম্বর জ্ঞানবন্ত সিংহ এবং ১০ সেপ্টেম্বর সেলভা মুরুগনকে তলব করা হয়েছে। 


এর আগে কয়লাকাণ্ডের তদন্তে ২৩ ফেব্রুয়ারি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। এবার ইডি-র তাঁকে ডেকে পাঠানো নিয়ে, তুঙ্গে উঠেছে তৃণমূল-বিজেপির চাপানউতোর। 


এদিকে, ২ কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূল নেতা ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, কী বলব। ঘরের মহিলাদেরও এরা ছাড়ে না। ভয় আমরা করছি না। এরা পাপ করছে। ইডি, সিবিআই, এনআইএ যে পারে ডাকুক।


রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এগুলো শুনে আমরা ক্লান্ত, মানুষও  ক্লান্ত। গতি পেলেই প্রতিহিংসা, শ্লথ হলেই সেটিং। আমরা চাই, দ্রুত বিচার পাক। 


সিপিএমের কটাক্ষ, তদন্ত যেন তলব নিয়ে তরজার জালেই না আটকে যায়। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, আমরা চাই ডাকাডাকির মধ্যেই যেন বিষয়টা সীমাবদ্ধ না থাকে। সবাই বিচার পাক।