ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: উত্তর বন্দর থানা এলাকার স্ট্র্যান্ড রোডে একটি পরিত্যক্ত বাড়ির ছাদ থেকে কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধল। ওই বাড়িটি পোর্ট ট্রাস্টের হলেও সেটি ভাড়া দেওয়া হয়েছিল বেসরকারি সংস্থাকে। বেশ কিছুদিন ধরে ফাঁকাই পড়ে ছিল বাড়িটি। সম্প্রতি বৃষ্টির কারণে জল জমে যাওয়ায় কর্মীরা বাড়িটি পরিষ্কার করতে যান। তখনই দেখা যায়, ছাদে পড়ে রয়েছে একটি কঙ্কাল। উত্তর বন্দর থানার পুলিশ আসে ঘটনাস্থলে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, কঙ্কালটি মানুষের। তবে কীভাবে সেটি ছাদে এল? এর পিছনে কী রহস্য আছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কঙ্কালটি পুরুষ না মহিলার তা জানার জন্য সেটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
বইয়ের পাতার হানাবাড়ি যেন উঠে এল খাস কলকাতায়! ভাঙাচোরা, স্যাঁতস্যাঁতে দেওয়াল বেয়ে নেমে এসেছে বটগাছের ঝুড়ি। বাড়ির সামনে দাঁড়ালে বোঝাই যায় না, কয়েক হাত দূরে ব্যস্ত স্ট্র্যান্ড রোড। মঙ্গলবার পোর্ট ট্রাস্ট্রের এই পরিত্যক্ত পাম্প হাউস পরিষ্কার করতে গিয়ে হদিশ মিলল নরকঙ্কালের!
স্ট্র্যান্ড রোড লাগোয় এই পাম্প হাউসের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব এক বেসরকারি সংস্থাকে দেয় পোর্ট ট্রাস্ট। এদিন জঞ্জাল সাফাই করতে এসে, ছাদে কঙ্কাল দেখে চমকে যান বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা।
কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, যে পাম্প হাউসের ছাদ থেকে কঙ্কালটি উদ্ধার হয়, তা ২০ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে কঙ্কাল উদ্ধার নিয়ে কথা বলেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। কীভাবে পোর্ট ট্রাস্টের পরিত্যক্ত পাম্প হাউসের ছাদে এল কঙ্কাল? কতদিন আগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে? কঙ্কালটি পুরুষ না মহিলার? কেউ কি ওই পরিত্যক্ত পাম্প হাউসে মারা যান? নাকি এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ? সেটা জানতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কঙ্কালটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, পোস্টমর্টেমের পর ফরেন্সিক এবং বেশ কিছু পরীক্ষা করা হবে।