কলকাতা: চেতলায় ঝুপড়িতে আগুন, ঝলসে জখম হয়েছেন ৪ জন। আহতদের মধ্যে ২ শিশুও রয়েছে। ৪ জন আহতকেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে এসএসকেএম-এ। জানা গিয়েছে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুপুর ১.১৫ নাগাদ ওই ঝুপড়িতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৪টি ইঞ্জিন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। গ্যাস লিক করে আগুন লাগে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান দমকলের।
এই একই দিনে মুম্বইয়ে ৬০ তলা বহুতলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জেরে আতঙ্ক ছড়াল। লেলিহান আগুনের হাত থেকে বাঁচার জন্য কার্নিসে আশ্রয় নিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু হাত ফস্কে তিনি পড়ে যান। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আকাশ। আতঙ্কে ছুটোছুটি শুরু হয়ে যায়। দমকলের ১২টির বেশি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে। বহুতলের ১৭ থেকে ২৫ তলার মধ্যে ছড়িয়েছে আগুন। কারি রোড এলাকার এই বহুতলে এখনও নির্মাণ কাজ চলছে।
সম্প্রতি জোড়াসাঁকোর গুদামে বিধ্বংসী আগুন লাগে। রাত ২টো নাগাদ দাউদাউ করে গুদামে আগুন জ্বলতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই খবর দেন পুলিশ ও দমকলে। দমকলের ৭টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এরপর তাদের প্রায় ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
তবে আগুনের তীব্রতায় পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে যায় গুদামের একাংশ। কারখানায় অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা ছিল না বলে স্বীকার করে নিয়েছেন গুদামের মালিক। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান দমকলের। শহরের বুকে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ছাড়াই কীভাবে এই গুদামে বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী মজুত করা হয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
কিছুদিন আগেই সোনারপুরের রাসায়নিকের কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। বহুক্ষণের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনতে হয় আগুন। তার আগের রাতভর বৃষ্টিতে বানভাসি ছিল শহর। সকালেও অব্যাহত ছিল বৃষ্টির ধারা। তারমধ্যেই ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। অন্যদিকে জানা যায় দাহ্য পদার্থ মজুত থাকার কারণে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল আগুন। দমকল যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় গোটা এলাকা।