কলকাতা: শহরে জোড়া অগ্নিকাণ্ড (Fire at kolkata)। ট্যাংরায় (Tangra) ভস্মীভূত ৩টি গুদাম। শোভাবাজারে (Sovabazar) পুড়ে যায় একটি টালির বাড়ি। গতকাল রাত ৩ টে নাগাদ প্রথমে ট্যাংরার পিলখানা রোডে প্লাস্টিকের স্ক্র্যাপের গুদামে আগুন লাগে। তা ছড়িয়ে পাশের আরও ২টি গুদামে। দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিনের ঘণ্টা-দুয়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেও পুড়ে ছাই হয়ে যায় ৩টি গুদাম।


পাশাপাশি, ভোর ৪টে নাগাদ শোভাবাজারের (Sovabazar) হরি বোস লেনে টালির বাড়িতে আগুন লাগে। দমকলের (Fire Bridged) বিরুদ্ধে দেরিতে আসার অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা। তাঁরাই প্রথমে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। ঘরে ৬টি গ্যাস সিলিন্ডার ছিল। বিস্ফোরণের আশঙ্কায় সেগুলিকে দ্রুত সরিয়ে ফেলা হয়। দমকলের ২টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় ঘণ্টাদেড়েক পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দুটি ক্ষেত্রেই অগ্নিকাণ্ডের কারণ স্পষ্ট নয়। 


গত ১ নভেম্বর খিদিরপুরের ফ্যান্সি মার্কেটের উল্টোদিকে গ্রিন প্লাজা মার্কেটে ভয়াবহ আগুন লাগে। খিদিরপুরে ইলেকট্রনিক সরঞ্জামের পাইকারি বাজারে আগুন লাগে এদিন। দমকলের ৪টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।



এই একই দিন বেলার দিকে রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় এক যুবকের। পেশায় পুরোহিত ওই যুবক বাড়িতে একাই থাকতেন। পুলিশ সূত্রে খবর, আজ সকালে বাড়িতে আগুন লাগার পর তিনি বের হতে পারেননি। দমকল সূত্রে খবর, কী থেকে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।



দাউদাউ করে জ্বলছে ঘর। ভিতর থেকে ‘বাঁচাও... বাঁচাও’ চিত্‍কার শুনতে পেয়েছেন প্রতিবেশীরা।  কিন্তু বাঁচানো যায়নি অগ্নিব্যুহে আটকে পড়া যুবককে।  অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার পূর্ব পুঁটিয়ারির পশ্চিম আনন্দপল্লিতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, টালির চালের এই দু’কামরার বাড়িতে একা থাকতেন ৩৫ বছরের গৌতম চক্রবর্তী। পেশায় ছিলেন পুরোহিত। এদিন সকালে আচমকাই তাঁর বাড়িতে আগুন ধরে যায়।  দাউদাউ করে ধোঁয়া বেরোতে থাকে।  ঘরে আটকে পড়েন গৌতম।  



প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন।  টালির চাল ভেঙে গৌতমকে বের করে আনার চেষ্টা হলেও তা সফল হয়নি।  দমকলের ১টি ইঞ্জিন বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও তখন সব শেষ।  দরজা ভেঙে গুরুতর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় গৌতমকে উদ্ধার করা হয়। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্‍সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।