কলকাতা:  লেকটাউনের শ্রীভূমির কাছে  দুর্ঘটনা। ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে উল্টে গেল গাড়ি। ভোর ৫টা নাগাদ ভিআইপি রোডে দুর্ঘটনা ঘটে। লেকটাউন থেকে উল্টোডাঙা যাওয়ার পথে ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে গাড়ি উল্টে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গাড়ির চালক-সহ ৪ আরোহী পালিয়ে যান। এক যাত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। কীভাবে দুর্ঘটনা, গাড়িচালক-সহ আরোহীরা পালিয়ে গেলেন কেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।



কয়েকমাস আগে এভাবেই সাত সকালে ই এম বাইপাসে দুর্ঘটনায় উল্টে  গিয়েছিল একটি গাড়ি। ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল যে, চিংড়িহাটার কাছে ক্যাপ্টেন ভেড়ির সামনে সকাল ৬টা নাগাদ একটি গাড়ি ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে উল্টে যায়। গাড়িটি সেক্টর ফাইভ থেকে সায়েন্স সিটির দিকে আসছিল।  যে  সময় এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল, তখন গাড়িতে শুধু চালক ছিলেন। তবে তাঁর আঘাত গুরুতর নয়।  পুলিশ চালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল।  ওই দুর্ঘটনার জেরে বাইপাসে কিছুক্ষণ যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল।



এদিন যে দুর্ঘটনা হয়, তা খুবই বড়সড় হতে পারত বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। গাড়িটিকে উল্টে যেতে দেখে এগিয়ে আসেন বেশ কয়েকজন প্রাতর্ভ্রমণকারী। দুর্ঘটনার সময় গাড়িটি খুব জোরে চলছিল কিনা, তা জানা যায়নি। এমনিতেই করোনা নিয়ন্ত্রণে রাজ্যে বিধিনিষেধ চলছে। এই অবস্থায় রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা কম ছিল। লোকজনও কম ছিল। নাহলে বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কাও ছিল।


 
গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে নীচে পড়ে যায় একটি ট্যাঙ্কার। দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে ফোর্ট উইলিয়ামের ক্যাম্পাসে পড়ে গাড়িটি। গাড়ির চালক ও খালাসিকে উদ্ধার করেন সেনা জওয়ানরা। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ওই দিন ভোরে দ্বিতীয় হুগলি সেতু দিয়ে খিদিরপুরের দিকে যাওয়ার সময় ঠিক হেস্টিংস মোড়ের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতু ভেঙে মাটিতে পড়ে যায় ওই তেলের ট্যাঙ্কার। ফোর্ট উইলিয়ামের পাঁচিলের উপরে পড়ে ট্যাঙ্কারটি। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পাঁচিলের কিছুটা অংশ। ঘটনায় ট্যাঙ্কারের চালক ও খালাসি দুই জনেই গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তাঁদের এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ আধিকারিকরা মনে করছেন এই ঘটনার জেরে আরও বড় বিপত্তি হতে পারত।