কলকাতা: বিধানসভার ওয়েলে নেমে বিজেপির বিক্ষোভ। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে চলছে বিক্ষোভ। পুরভোটে সন্ত্রাস নিয়ে বিজেপির বিক্ষোভ।রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তুলেছে তারা। বিক্ষোভের জেরে ভাষণ শুরু করতে পারেননি রাজ্যপাল। রাজ্যপালকে ভাষণ শুরু করতে অনুরোধ মুখ্যমন্ত্রীর। হাতজোড় করে রাজ্যপালকে ভাষণ শুরু করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যেতে উদ্যত হন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধের বেশ খানিকক্ষণ পর আসন গ্রহণ করেন রাজ্যপাল। বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভ থামাতে অনুরোধ মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিধানসভার স্পিকার, পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠালেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল আলাদা করে কথা বলতে ডেকে পাঠালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। প্রথাগত ভাষণ শুরু করতে চাইছেন রাজ্যপাল। ''আপনারা থামুন, রাজ্যপালের ভাষণ গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য'', বিজেপি বিধায়কদের বললেন ধনকড়।
সূত্রের খবর, বিধানসভার সব গেটই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য়পাল নিজের আসনে বসে পরার পর চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে তৃণমূল মহিলা বিধায়করা রাজ্যপালের আসনের সামনে দাঁড়িয়ে পারেন। এরপর আর রাজ্যপাল বেরিয়ে যেতে পারেননি। রাজ্যপাল কখনও বসে পড়ছিলেন, কখনও তাঁর আসন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
উল্লেখ্য, আজ থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে শুরু হওয়ার কথা অধিবেশনের। প্রথা মেনে এর আগে বসেছিল সর্বদলীয় বৈঠক। কিন্তু সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দিল না বিজেপি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শুধুমাত্র তৃণমূলের মন্ত্রীরাই।
এর আগে এমনটা অনেকবার দেখা গিয়েছে যে রাজ্যপালের ভাষণ শুরু হওয়ার পর বিভিন্নরকম উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এই প্রথম হয়ত প্রথাগত ভাষণ শুরুই করতে পারছেন না রাজ্যপাল। এদিন শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভে সামিল হয় বিজেপির বিধায়করা।
এদিকে, কুলপিতে তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে কালো পতাকা, গো-ব্যাক স্লোগান। সুকান্ত মজুমদারের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের। তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের বচসা-হাতাহাতি। কুলপিতে আধ ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ বিজেপি কর্মীদের। পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়।