কলকাতা: আজ ভোর থেকে অসুস্থ মিমি চক্রবর্তী। অভিনেত্রী-তৃণমূল সাংসদের পেটে ব্যথা রয়েছে। আগে থেকেই মিমির গল ব্লাডারে সমস্যা ছিল। আজ ভোরে বাড়িতে এসে চিকিৎসক তাঁকে দেখে গিয়েছেন। এখনও মিমি চক্রবর্তী বাড়িতেই চিকিত্সাধীন। এমনটাই জানিয়েছেন অভিনেত্রীর জনসংযোগের দায়িত্বপ্রাপ্তরা
অসুস্থতার কারণে মিমি চক্রবর্তীর কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। আজ ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে  ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকের কথা ছিল তাঁর।
কসবায় ভুয়ো ভ্যাকসিনচক্রের শিকার হয়েছেন মিমি চক্রবর্তী। গত মঙ্গলবার কসবায় যে টিকাকরণ কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছিল ,সেখানে নিজে গিয়ে ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন অভিনেত্রী সাংসদ। উদ্দেশ্য ছিল সচেতনতা প্রচার। অভিনেত্রীকে ক্যাম্প থেকে ভ্যাকসিন নিতে দেখলে মনের জোর পাবে সাধারণ মানুষ। 
মঙ্গলবার কসবার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ভ্যাকসিনেসন ড্রাইভের আয়োজন করা হয়। সচেতনতা প্রচারে সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মিমি চক্রবর্তীকেও। সেই ক্যাম্পে গিয়েই নিজের ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেন মিমি। কিন্তু ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে কোনও সার্টিফিকেট না আসায় সন্দেহ হয় মিমির। খোঁজ নিয়ে জানেন, ওই ক্যাম্পে ভ্যাকসিন নেওয়া কারোরই সার্টিফিকেট আসেনি। এরপরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মিমি।
পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে জানতে পারে, দেবাঞ্জন দেব নামে ওই ব্যক্তি ভুয়ো আইএএস অফিসার ও জয়েন্ট কমিশনার অফ কলকাতা কর্পোরেশনের পরিচয় দিয়ে ভ্যাকসিনেশন ড্রাইভের আয়োজন করেছিলেন। পুরসভার অনুমতিও নেওয়া হয়নি অনুষ্ঠানের আগে। কার্যত বেনিয়মে ব্যবহার করা হয়েছে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটিকেও। ঘটনায় ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এরপর গত বৃহস্পতিবার তিনি বলেছিলেন, , 'গতকাল থেকে আমার কাছে প্রচুর ফোন আর মেসেজ আসে। সবাই জানতে চায় আমি কেমন আছি। আমি সবাইকে জানাতে চাই, একদম সুস্থ আছি আমি। গতকাল আমার সঙ্গে অনেকে ভ্য়াকসিন নিয়েছিলেন, তবে আমি যদি সুস্থ থাকি, আমার ভরসা আপনারাও সুস্থ থাকবেন। কেবল ভয় পাবেন না। স্যাম্পেল চলে গিয়েছে। আমার মনে হয় ওই ভ্যাকসিনে ক্ষতিকারক পদার্থ কিছু ছিল না। তবে সম্ভবত ভ্যাকসিনও ছিল না। তবে দেবাঞ্জন দেব নামে এই লোকটি আরও অনেকগুলো ক্যাম্প করেছে ইতিমধ্যেই। যাঁরা এমন কোনও ক্যাম্পে ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাঁরা কলকাতা কর্পোরেশন বা কাছাকাছি পৌরসভায় যোগাযোগ করুন। পরবর্তী পদক্ষেপ কী তা জানুন। নিজের শরীরের খেয়াল রাখুন।'