কুমারী পুজোর রীতি: মহানবমীর সকালে পুরুলিয়ার আদ্রা শহরে বাঙালি সমিতির মণ্ডপে কুমারী পুজোর আয়োজন করা হয়। প্রথা মেনে পুজো করা হয় ৫ জন কুমারীকে। মৃন্ময়ী মায়ের সামনে চিন্ময়ী মায়ের পুজো দেখতে মণ্ডপে মানুষের ঢল।
বর্ধমান সর্বমঙ্গলা পুজো: বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে আজ নব কুমারী পুজো৷ কুব্জিকা, মালিনী, সুভগা, কালিকা-সহ দেবীর নানা রূপ৷ ৯ জন কুমারীকে দুর্গার ন’টি রূপে সাজিয়ে কুমারী পুজো করা হয়৷ নব কুমারী পুজো দেখতে মন্দির চত্বরে সকাল থেকেই ভিড়৷ কুমারী পুজোর পরে ভোগ খাওয়ার পালা৷ বর্ধমানের এই সর্বমঙ্গলা মন্দিরে অষ্টদশভূজা সর্বমঙ্গলা দেবীকে দুর্গা রূপে পুজো করা হয়৷ আর প্রতিবছরই নবমীর দিন হয় কুমারী পুজো৷ ১৭০২ সালে বর্ধমানের মহারাজা কীর্তিচাঁদ সর্বমঙ্গলা মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।
৮৮ বছরে পা দিল মুদিয়ালি ক্লাবের পুজো। নবমীর দিন এখানে কুমারী পুজোর আয়োজন করা হয়। সাড়ে ৫ বছরের দিয়া মেহতাকে এবারে মাতৃরূপে পুজো করা হচ্ছে।
শোভাবাজার রাজবাড়ির আয়োজন: কলকাতার বনেদি বাড়িগুলির অন্যতম শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজো। প্রথা মেনে নবমীতে হোম, বলি, আরতি, বিশেষ পুজো শুরু হয়েছে। শোভাবাজার রাজবাড়িতে অন্নভোগের প্রচলন নেই।তার পরিবর্তে চাল, কলা, দুধ, মিষ্টি আর সন্দেশ দিয়ে দেবীকে ভোগ নিবেদন করা হয়। বলি দেওয়া হয় আখ, চালকুমড়ো, মাগুর মাছ। বলির পর আরতি। এরপর অঞ্জলি। বিকেলে মিছরি, জল ও মাখন দিয়ে দেবীকে শীতল ভোগ। রাতে শুকনো মিষ্টি সহযোগে মিঠাই ভোগের আয়োজন।
নবমীতে বলি প্রথা: নবমীর দিন বিভিন্ন জায়গায় বলি প্রথা চালু রয়েছে। শোভাবাজার রাজবাড়ি, বড়িশার সাবর্ণ রায়চৌধুরী বাড়িতে ফল, চালকুমড়ো বলি দেওয়া হয়। ফল বলি দেওয়া হয় বেলুড় মঠেও। বড়িশার সাবর্ণ রায়চৌধুরীদের বড় বাড়ির পুজোর বয়স ৩০৬ বছর। কৃষ্ণদেব রায়চৌধুরীর হাত ধরে ১৭১৭ সালে এই পুজো শুরু হয়। নবমীর দিন কুমারী পুজো হয় সার্বণ রায়চৌধুরীদের বড় বাড়িতে। এদিন ফল বলিও হয়। বেলেঘাটা বান্ধব সমিতির পুজোর বয়স ২৮ বছর। মণ্ডপ সজ্জা ও প্রতিমায় সাবেকিয়ানার ছোঁয়া। পাড়ার লোকেরাই মণ্ডপ সাজিয়েছেন, এটাই এই পুজোর বৈশিষ্ট।
উত্তর কলকাতার এই পুজো এবার ১০৪ বছরে পা দিয়েছে। গতকাল রাতভর জনজোয়ারের পর, আজ সকালে নবমীর পুজো দেখতে বাগবাজার সর্বজনীনে মানুষের ঢল। রাত পোহালেই বিজয়া দশমী। শেষ মুহূর্তের সব আনন্দ উপভোগ করে নিতে গতকাল ম্যাডক্স স্কোয়ারে ভিড় উপছে পড়েছিল। আজ সকাল থেকে নবমীর পুজোর প্রস্তুতি চলছে। দুপুরে ভোগ বিতরণ।